এস এম মাসুদ রানা, ত্রিশাল
সরিষা ও গমের চাষাবাদের পাশাপাশি বিকল্প ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন ত্রিশাল
উপজেলার কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উপজেলায় সূর্যমুখীর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় সূর্যমুখী থেকে ভালো ফলনে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তথ্য মতে, ত্রিশাল
সূর্যমুখীর চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর কৃষি পুনর্বাসন প্রণোদনার আওতায় উপজেলায় কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে এক কেজি করে আরডিএস জাতের সূর্যমুখীর বীজ বিতরণ করা হয়।
ত্রিশাল উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, হাতে–কলমে কৃষকদের বীজ আহরণ পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হবে।
ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের সতের পাড়া
এলাকার একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। কাঁচা ও আধা পাকা সূর্যমুখী ফুলে বিস্তীর্ণ জমি হলুদে ছেয়ে গেছে।
সূর্যমুখী চাষি রাজীব হাসান বলেন, আমি দাখিল পরিক্ষা দেওয়ার পর বেশি কিছু দিন সময় পেয়েছিলাম তখন
উপজেলা কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণা থেকে আমিসহ আমার ছোটভাই মিলে ২০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছি। এ বছর ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি। ন্যায্য মূল্য পেলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে এবং আমাদের মতো আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হবেন।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিশাত মাহবুবা রহমান বলেন, আগে কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। আমি নিজ চেষ্টায় তাঁদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। সরকারিভাবে বিনা মূল্যে বীজ দেওয়া থেকে শুরু করে চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন কৃষকদের হাতে–কলমে বীজ আহরণ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে।
Leave a Reply