মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

ভাদ্র মাস তাল পাকার মৌসুম, গাছে গাছে পাকা তালের শোভা পাচ্ছে সর্বত্র  

এস এম দূর্জয়, গাজীপুর
  • Update Time : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৫ Time View

এস.এম দুর্জয়, গাজীপুর:

এখন ভাদ্র মাস’তাল পাকার মৌসুম,গাছে গাছে পাকা তালের শোভা পাচ্ছে সর্বত্র,হাট বাজারে পাকা তাল উঠা শুরু হয়ে গেছে তাল পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।পাকা তালের আঁশযুক্ত অংশ থেকে হলুদ রংয়ের রস সংগ্রহ করা হয় যা সিদ্ধ করে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায় এবং তালের রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়।পৃথিবীর অনেক দেশেই তালগাছ আছে,তবে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তালের আধিক্যে বেশি।কারো মতে আফ্রিকা থেকে তালের সর্বপ্রথম উৎপত্তি আবার কারো মতে দক্ষিণ এশিয়া তথা পাক ভারত উপমহাদেশে প্রথম তাল গাছের চাষ শুরু।বাংলাদেশে এখন আগের তুলনায় তালগাছ কম দেখা যায়,আর তার কারণ হিসেবে জানা যায়-তালগাছ বড় হতে অন্য গাছের তুলনায় সময় নেয় বেশি অর্থাৎ অঙ্কুরোদগমের পর থেকে গাছে তাল ধরতে ১২-২০ বছরের মতো সময় লেগে যায়,দেখা গেছে তালগাছের কান্ড বছরে সর্বোচ্চ একফুট বৃদ্ধি পায়,যার দরুণ যিনি বিলম্বে তালগাছ রোপন করেন তার ভাগ্যে তাল খাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে উঠেনা বলে লোকমুখে শুনা যায় ফলে তালের আঁটি বা বীজ কিংবা চারা রোপনে অনেকেরই আগ্রহ কম দেখা যায়।তাছাড়া তালের আঁটি অনেকটা গোপনীয়ভাবেই রোপন করতে হয়।

তালগাছের আয়ুষ্কাল ১০০ বছরেরও বেশি হয়ে থাকে,কোন কোন গাছ ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং সবচেয়ে উঁচু,শক্ত ও মূল্যবান বৃক্ষ।প্রায় ৩০ মিটার লম্বা হওয়ার কারণে ঝড়ের সময় বাতাসের গতিকে বাধা প্রদানে সক্ষম থাকে ফলে কাঁচা ঘর-বাড়ি সহ অন্যান্য বৃক্ষও অনেকাংশে ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পায়।তালের পাতা পাখাকৃতি হয়ে গোড়ারদিকে করাতের ন্যায় ধারালো অংশসহ প্রায় ৩মিটার লম্বা এবং ২মিটার পর্যন্ত প্রস্থ হয়ে থাকে।একটা গাছের চূড়ায় একসংগে ২৫-৩০ টি সতেজ পাতা বিদ্যমান থাকে।তালগাছের শক্তিময়তা ও উচ্চতানিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  “তালগাছ”কবিতায় লিখেছেন তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে”কৃষক তালগাছ কাঠ মিস্ত্রি দিয়ে সাইজ করে কেটে আংশিক খোলা পাইপের মতো কোণ নামক যন্ত্র বানিয়ে সেচের কাজে ব্যবহার করেন।তাল পাতার পাখা তৈরি সহ বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক কাজ,ঘর ছাওয়া এবং গৃহ সজ্জা ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।সর্বোপরি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে তালগাছ রোপন অপরিহার্য।প্রকৃতি ও পরিবেশকে সতেজ রেখে আমাদের সবার প্রিয় পৃথিবীকে বাস উপযোগী করতে হলে সকলকেই বৃক্ষরোপণে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক।বিশেষ করে ফলজ গাছ বেশি করে লাগানো প্রয়োজন।তা হলেই আগামী প্রজন্ম পাবে বাসযোগ্য পৃথিবী।”ভালবাসা অভিরাম”তাই আমাদের সকালেরই উচিত বেশি করে গাছ লাগানো,গাছ আমাদের পরিবেশ ও জীবন রক্ষা করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category