বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ
  • Update Time : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৪ Time View

রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারণা ছাড়া সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলাম ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যাবে না।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু করবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।

এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন দাবিতে লাগাতার অবরোধ ও হরতালসহ নানান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, সেজন্য নির্বাচন বিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন।

কেননা কমিশন মনে করে নির্বাচন বিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে। এতে ভোটার উপস্থিতিও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, বিএনপির ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তথ্য পেয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া রোববার অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসব সভা-সমাবেশ হোক নির্বাচন কমিশন তা চায় না।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বিরোধী কর্মসূচির বিষয়ে ইসির শক্ত অবস্থানের বিষয়টি শনিবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের বক্তব্যেও উঠে আসে। তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। এখন এটি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রম নির্বাচন পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category