নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের খাগড়াডাঙ্গা গ্রামের প্রতিবেশীদের সাথে জমি সংক্রান্তে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাফর খন্দকারের স্ত্রী চিকনা বেগম, সোহেল খন্দকারের স্ত্রী তহুফা ইসলাম, জুয়েল খন্দকারের স্ত্রী রিংকু মনি সহ শিশু সাহারিন ছোয়া (১০) ও সিনথিয়া হাসান (০৭) গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে এড. রবিউল খন্দকার ও তাঁর সহযোগীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী চিকনা বেগম সহ সকলকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকনা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। বাকিদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে জুয়েল খন্দকার নামক এক ভুক্তভোগী বলেন, খাগড়াডাঙ্গা গ্রামের শামছুল হক খন্দকারের ছেলে এড. রবিউল ইসলাম খন্দকার ওরফে রাসেল (গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের উকিল) ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত তার বোন সালেহা বেগম (সিনিয়র স্টাফ নার্স) উভয়েই তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনের ওপর অত্যাচার করে আসছে বহু দিন যাবৎ। এলাকার লোকজন তাদের পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে হাসপাতালে আসলে সালেহা বেগমের প্রভাবে হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। অপরদিকে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে গোপালগঞ্জ আদালতে এড. রবিউল খন্দকারের প্রভাবে হার মেনে মুখ বুঝে চলে যেতে হয় ভুক্তভোগীদের।
প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত চিকনা বেগমের স্বজনেরা গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগেও ওরা চিকনা বেগমকে মেরে তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো। সে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সালেহা বেগমের ক্ষমতার দাপটে কোন সুফল পায় নাই। বরঞ্চ আমাদেরকে মারধর করার পরে তার ভাই রবিউল, উকিল হওয়ার সুবাদে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে জেল খাটিয়েছিলো। গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ছালেহার ভাই এড. রবিউল খন্দকার ফের চিকনা বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে আহত করে। সে তাকে বারবার বলে আমি তোর বড়। আমাকে মারিস না। তারপরেও সে চিকনা বেগমের বুকের ওপর উঠে তাকে ইচ্ছামতো মেরেছে। আমরা এই পাষান্ডদের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়া তারা নিজেরা ব্লেড দিয়ে কেটে দুপুর বেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মিথ্যা সার্টিফিকেট নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আবার মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
এদিকে অভিযুক্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স সালেহা বেগম ও এড. রবিউল ইসলাম খন্দকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply