বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

পেকুয়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তার নিয়োগেই লাখ টাকার চাঁদাবাজি

এইচ,এম শহিদুল ইসলাম,পেকুয়া
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৮ Time View

এইচ,এম শহিদুল ইসলাম, পেকুয়া

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুটি বাজারে দুইজন ব্যক্তি দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। রেঞ্জ কর্মকর্তার নিয়োগকৃত দুই কথিত ক্যাশিয়ার পেকুয়া বাজার ও আরবশাহ বাজারে অবৈধভাবে চোরাই গাছ ও কাঠবাহী ট্রলি এবং পিকআপ গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে প্রতিদিন। আর এভাবে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করে পকেট ভারী করছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে বেপরোয়া চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বাজার হচ্ছে পেকুয়া বাজার ও রাজাখালীর আবরশাহ বাজার। এ দুটি বাজার গাছ ও কাঠ ব্যবসার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। ১৮টি স’মিল ও শতাধিক স্থায়ী কাঠ ব্যবসায়ী রয়েছে। এছাড়া পেকুয়া, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, বাঁশখালী, ফাইতং, আজিজনগরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী সরাসরি এ দুটি বাজারে গাছ ও কাঠ সরবরাহ দেয়। এসব উপজেলা থেকে পিকআপ ও ট্রলি করে অবৈধ গাছ এনে মজুদ করা হয় স’মিলে। আর এসব গাছ ভর্তি প্রতিটি গাড়ি থেকে পেকুয়া বাজারে এক ব্যক্তি ২০০-৪০০টাকা পর্যন্ত চাঁদা উত্তোলন করেন।

আরও জানা যায়, রেঞ্জারের নামে গত তিন বছর ধরে পেকুয়া বাজারে গাছ ও কাঠবাহী ট্রলি-পিকআপ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন জনৈক ব্যক্তি। উত্তোলিত চাঁদার টাকা থেকে নির্দিষ্ট হারে ভাগ পৌঁছে দেওয়া হয় ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমানের কাছে।

অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী আরবশাহ বাজার থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলন করেন নুরুন্নবী নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি ওই বাজারের নৈশ প্রহরী। তিনি প্রতিটি গাড়ি থেকে ১০০-২০০ টাকা উত্তোলন করে। গত তিন বছর ধরে এভাবে তিনি চাঁদা তুলে যাচ্ছেন। জানতে চাইলে, নুরুন্নবী বলেন, ‘টাকা তুলে রেঞ্জারকে দিতে হয়। দৈনিক হাজার দেড়েক টাকা পাওয়া যায়। এ কাজে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতন দেয় আমাকে রেঞ্জার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গাছ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা এক প্রকার জিম্মি। চাঁদা না দিলে গাছ ও গাড়ি জব্দ করে। ঝুটঝামেলা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হয়।

ক্যাশিয়ার নিয়োগ দিয়ে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমান বলেন, আমি কাউকে ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ দিইনি। টাকা তোলার বিষয়ে আপনাদের কাছে বলেছে এটা কোন বাপের বেটা। তাদেরকে আমার সামনা সামনি করান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category