মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানালেন ডা. জাহিদ ডেঙ্গুতে এক মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮২ কিছু দল নির্বাচন পেছানোর অজুহাত তৈরি করছে: অলি আহমদ কোনও উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে তদন্ত করা হবে: দুদক চেয়ারম্যান তদন্ত সংস্থার কাছে আসিফ মাহমুদের জবানবন্দি জনগণের জীবনমানের উন্নয়নই হবে বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি: তারেক রহমান বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার চলছে: মির্জা ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা কোটালীপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত কোটালীপাড়ায় অভাবের তাড়নায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

রংপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৭ Time View

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আয়শা বেগম বিউটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টোকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে ভুট্টুর বাবা বেলাল হোসেন, মা কুলসুম বেগম, মামাতো ভাই বিটু সরকার বিটু, আবু সাইদ, নুরুদ্দিন ও খাজির উদ্দিককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।মামলার অপর আসামি বিলকিস বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত (২) এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রোকনুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে আয়শা বেগম বিউটিকে যৌতুকের জন্য স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টো নির্যাতন করতেন। এর এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ১ জুন তাকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গোয়াল ঘরে পুঁতে রাখে।

এর তিন দিন পর গোপনে লাশটি উত্তোলন করে বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে। এর পর ৭ জুন পুলিশ বিউটির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুবক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১ জুন পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।মামলার ২৭ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category