রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধায় আনারুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন  সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে পেকুয়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে প্রতিবাদ ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক তুহিন হত্যার নেপথ্য কারণ কারণ জানালো পুলিশ,১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস পুলিশের ভূমি অফিসে চাকরি করে বলে কবরস্থান দখলের পায়তারা শ্রীপুর প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মালেক,সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাজশাহীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন রংপুরে তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ত্রিশাল প্রেসক্লাবের মানববন্ধন নওগাঁয় বিএমএসএফের উদ্যোগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জরুরি সভা

ড. মোকবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা: দুদক

শফিকুল আলম ইমন, রাজশাহী
  • Update Time : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ১৬৯ Time View

শফিকুল আলম ইমন, রাজশাহী

প্রায় তিন বছর যাবৎ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি বিতর্কিত বিষয়ের তদন্তের অবসান হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোকবুল হোসেন দুদকের তদন্তে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন।

গত ১২ মে’২৪ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে জনপ্রতি ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণপূর্বক ছয়জন কর্মকর্তাকে বিধি বহির্ভুত পদোন্নতি প্রদানের অভিযোগটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তার পরিসমাপ্তি ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের কপি মন্ত্রীপরিষদ সচিবসহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিচালক, দুদক প্রধান কার্যালয়, উপ-পরিচালক, দুদক, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরসমূহে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযোগ উত্থাপন করে হয়রানি মূলক ভাবে ড. মোকবুল হোসেনকে গত ২৩ নভেম্বর’২১ ওএসডি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়। অপরদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজ্জু হয়। মামলায় দু’টি বিষয়ে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। প্রথম অভিযোগ- বিধিবহির্ভুতভাবে পদোন্নতির আদেশ, দ্বিতীয়টি তদন্তকাজে অসহযোগিতার জন্য অসদাচরণের অভিযোগ। অভিযোগ দুটির প্রেক্ষিতে সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোকবুল হোসেন ব্যাখ্যা প্রদান করে বলেন- ১৯৬১ সালের অর্ডিনেন্স এর ১৮(২), (১২) মোতাবেক এবং এসআর ৬৫ এর ২ বিধি অনুসারে চেয়ারম্যানের দ্বারা শিক্ষাবোর্ডের জনগণ নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য অস্থায়ী আদেশ প্রদানের নির্বাহী ক্ষমতা রয়েছে । তিনি নির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, জনসেবা ও শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অস্থায়ী আদেশ প্রদান করেছেন, যা পূর্বাপরভাবে চেয়ারম্যানের রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে প্রচলিত ও চর্চিত। অপরদিকে, মন্ত্রণালয় কর্তৃক দ্বিতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা যুগ্মসচিব মুকেশ বিশ্বাসকে সাবেক চেয়ারম্যান যথাসময়ে ই-মেইল ঠিকানায় দাপ্তরিক পত্র ও টেলিফোনিক আলাপের মাধ্যমে অবহিত করেন যে, তদন্তের তারিখে (২৩/২/২০২১) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। বিধায় পুনরায় তারিখ নির্ধারণে অনুরোধ জানানো হয়। তার বিধিসম্মত ও জনস্বার্থমূলক দায়িত্ব পালনের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপন করে প্রায় ৩ বছর ওএসডি রেখে তাঁকে দণ্ডাদেশ প্রদান করে। দণ্ডাদেশটিও জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরি বিধিবিধান ও অর্থমন্ত্রণালয়ের বেতন ভাতা এবং পেনসন বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সুতারাং প্রজ্ঞাপনটি প্রশ্নবিদ্ধ।

এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে যোগাযোগ করলে এক কর্মকর্তা জানান, ড. মোকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষা সচিব কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশটি অস্পষ্ট ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কেননা ড. মোকবুল হোসেনের চাকরির মেয়াদ যখন ১ বছর তখন তাঁর চাকরির মেয়াদ বিবেচনা না করে তাঁকে ২ বছরের জন্য দণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পেনশন ও বেতনবিধির সঙ্গে এই আদেশটি সম্পূর্ণরূপে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অর্থাৎ এবছর পহেলা নভেম্বর তিনি অবসর গ্রহণের পরেও তাঁর দণ্ডের মেয়াদ এক বছর বহাল থাকবে। এককথায়, দণ্ডাদেশটি সম্পূর্ণরূপে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবিবেচনাপ্রসূত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুশাসন পরিপন্থী একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই সব বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমার পেশাগত সাফল্যে ঈর্ষান্বিত একটি কুচক্রী মহলের দ্বারা আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার প্রতি দুদক সুবিচার করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি অসত্য ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অযৌক্তিক ও অন্যায্য দণ্ড প্রদান করেছে। এই বিষয়ে সুশাসন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি জাতির একমাত্র ভরসাস্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশ সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৭ বিধি মোতাবেক আদেশটি পুণ:নিরীক্ষণের অনুরোধ জানাচ্ছি। উক্ত বিধি মোতাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুণঃনীরিক্ষণের জন্য সকল নথিপত্র মন্ত্রণালয় থেকে নিজ দপ্তরে তলব করতে পারেন। প্রজাতন্ত্রের কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নন। আমি আশান্বিত যে, দুদকের তদন্তে প্রকৃত সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমার সকল আস্থা ও প্রত্যাশা রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে। সুশাসনের স্বার্থে আমি ন্যায় বিচার পাবো ইনশাআল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category