বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইতালিতে তীব্র গরমে গাড়ির ভেতর আটকে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু শ্রীপুরে ওএমএস ডিলারের ওপর হামলা,থানায় অভিযোগ ত্রিশালে বাগান আলিম মাদ্রাসার সভাপতি হলেন সাংবাদিক জোবায়ের হোসেন দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা জরুরি: আমীর খসরু জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ‘দেবদাস’ সিনেমার অভিনেত্রী নাজিমার মৃত্যু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ায় ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা, যেসব সুবিধা থাকবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ধেয়ে আসছে ভয়াবহ বিপদ! অস্ট্রিয়ান ক্লাব ডব্লিউএসজি টিরোলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ

২৫৩টি গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ৪৮ Time View

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ বিশ্লেষণের মধ্যে থেকে গুম হওয়া ২৫৩ জনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মইনুল ইসলাম বলেন, এতে স্পষ্ট হয় যে, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর ভুক্তভোগী ছিল মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পেশাজীবী। এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করেছে এবং নির্যাতন ও গোপনে আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। এমনকি সাধারণ নাগরিককে বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দিয়েছে।

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের এই সভাপতি বলেন, বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার এই সামঞ্জস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। ব্যাপারটা মোটেও এমন নয় যে, একটি জঙ্গিবাদ দমন অভিযানে দু-একজন অসাবধানী কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমনযন্ত্র, যা জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।

গুম থেকে ফিরে না আসা ১২ জনের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। গুমের সঙ্গে র‌্যাব সবচেয়ে বেশি জড়িত উল্লেখ করে মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীরাও জড়িত। বাংলাদেশে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভারতীয় যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারব না। এ সময় গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category