শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৌলতপুরে বিএনপির প্রার্থীতা পরিবর্তনের দাবিতে গনসমাবেশ করেছে জুয়েলের সমর্থক’রা ত্রিশালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ নড়াইল ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসক এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় তৃপ্তিকে বিজয়ী করতে গোগায় উৎসবমুখর উঠান বৈঠক বেনাপোলে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গরীবের চিকিৎসক খ্যাত ডাক্তার তোতা আর নেই রংপুর বিভাগীয় বই মেলা বর্জন কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদে ও থানায় ককটেল বিস্ফারণ,  আহত ৩ পুলিশ সদস্য

ভারতের রাজনীতিতে মামদানিকে নিয়ে চর্চা, ডানপন্থিদের কঠোর সমালোচনা

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক
  • Update Time : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১০০ Time View

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয় পেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক জোহরান মামদানি। মাত্র ৩৩ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা যুক্তরাষ্ট্রে বাম রাজনীতির নতুন মুখ হয়ে উঠেছেন, আবার ভারতে ডানপন্থীদের কড়া সমালোচনার শিকার।

গালফ নিউজ‘র এক বিশ্লেষণ মতে, মামদানি একজন মুসলিম, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচক এবং ইসরায়েলের গাজায় সামরিক হামলার বিরোধী — এসব কারণেই ভারতীয় ডানপন্থী মহলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রবল। আবার তার সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, যেমন ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির দাবি, বাস ভাড়া ফ্রি করা, শিশু যত্নে সরকারি সহায়তা— এসব কারণে ভারতের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

অনেকেই মামদানিকে ভারতের আম আদমি পার্টির সঙ্গে তুলনা করছেন। যেমনটি দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল করতেন, ঠিক তেমনভাবেই মামদানি প্রচলিত রাজনৈতিক ধারার সামনে ‘বাধা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

ভারতে মামদানির জনপ্রিয়তা নিয়ে চর্চা অবাক করার মতো নয়। সম্প্রতি পশ্চিমা বিশ্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতারা বিভিন্ন দেশে নেতৃত্বের আসনে বসছেন। রিশি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন — সেটি ভারতের ডানপন্থীরা উদযাপন করেছে। কারণ, সুনাক তার হিন্দু পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

কিন্তু মামদানি হলেন উল্টো চিত্র। শুধু তার মুসলিম পরিচয়ই যেন তাকে বিতর্কের কেন্দ্রে এনে দাঁড় করিয়েছে। এমনকি কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভিও মামদানিকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা অনেকেই অশোভন বলেই মনে করছেন।

এছাড়া, শিবসেনা নেতা মিলিন্দ দেওরা এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেক মুম্বাইবাসী জানে মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র হতে চলেছেন, কিন্তু মুম্বাইয়ের শেষ তিনজন মেয়রের নাম জানে না।‘

মূলত মামদানির জয় ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। তা হলো — সিটি করপোরেশন ও নগর নেতাদের গুরুত্ব বোঝা এবং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়ানো।

মার্কিন রাজনীতিতে মামদানির এই বিজয় ডেমোক্র্যাট পার্টির দিকনির্দেশনা পাল্টে দিতে পারে। কেউ কেউ ভাবছেন, তার সমাজতান্ত্রিক অবস্থান মধ্যপন্থী ভোটারদের দূরে ঠেলে দিতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন, রিপাবলিকানদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ এর জবাবে মামদানির ভাবনা হতে পারে ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category