মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

নতুন শিক্ষাক্রম: ১৬টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার পর্যালোচনা চলছে, নেয়া হবে দলগুলোর মতামত

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক
  • Update Time : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬২ Time View

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১২ সালে শিক্ষাক্রমে সবচেয়ে বড় রদবদলের মাধ্যমে আসে সৃজনশীল পদ্ধতি। মুখস্থ নির্ভরতা কমিয়ে আরও বড় পরিবর্তন আসে ২০২১ সালে। সেই শিক্ষাক্রমকে ভালো উদ্যোগ বলা হলেও দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে তা ত্রুটিযুক্ত ছিলো বলে কেউ কেউ মনে করেন। সেইসময় শিক্ষাক্রম বাতিলে টানা আন্দোলনও হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০১২ সালের আলোচিত সৃজনশীল শিক্ষাক্রম ফিরিয়ে আনা হয়। তবে ২০২৭ সাল থেকে নৈতিক, মানবিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম চালুর কথা ভাবছে সরকার। এজন্য ১৬টি দেশের শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে।

যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের শিখন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিভিন্ন রকম। শিক্ষার্থীরা সংখ্যাতত্ব, প্রযুক্তি, নীতি, সৃজনশীল চিন্তা, মানবিক, সমাজবিজ্ঞান ও সংস্কৃতি। দেশটিতে শ্রেণীকক্ষে ধারাবাহিক্ম মূল্যায়নে বেশি জোর দেয়া হয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রে শিখন মূল্যায়ন পদ্ধতি স্কুলগুলোই ঠিক করেন। শিক্ষকরা ক্লাসে দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়নে জোর দেন। ফলে অনুসন্ধানভিত্তিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে পৃথিবীর অন্যতম সুখী দেশ ফিনল্যান্ডে নীতি, গনিত, বিজ্ঞান, শিল্প-কলা, সমাজ বিজ্ঞান ও বিদেশী ভাষায় প্রাধান্য দেয়া হয়। দেশটির শিখন পদ্ধতি অনুসন্ধানভিত্তিক ও অভিজ্ঞতামূলক। ক্লাসে জীবনমুখী সমস্যার সমাধান করান শিক্ষকরা। দ্বাদশ শ্রেণীতে হয় প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ চীনের শিক্ষাক্রমে ভাষা, কারিগরি শিক্ষা, গনিত, নৈতিক ও রাজনীতি শিক্ষা প্রাধান্য দেয়া হয়। সমালোচনামূলক চিন্তা, সমস্যা সমাধান, দলগত কাজ ও উদ্ভাবনী শিক্ষার ওপর ক্লাসে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হয়। এখন সমস্যা হলো এসব দেশের শিক্ষাক্রম চালু করার মতো আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট দেশে নেই। তাছাড়া, মানসপন্ন শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের অভাব তো রয়েছেই।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্ত বোর্ডের (এনসিটিবি) বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাইর আল ফারুকী বলেছেন, আমাদের স্কুলের পরিবেশ ও ক্লাসরুমের চর্চার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের পেশাগত প্রস্তুতি ও নিষ্ঠা প্রয়োজন। এদিকে, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শগত বিস্তর ফারাক আরেকটি বাধা।

এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষাক্রম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে কাঠামো তৈরি করা হবে। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই এটি করা হবে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় যাওয়া দল এটিকে বাস্তবায়ন করবে। অন্যদিকে শিক্ষাবিদরা জানান, অনেক দেশই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। সেটিই শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, কারিকুলাম বদলাতে হবে আগে সংবিধানকে ঠিক করতে হবে। এটি না করা গেলে বর্তমান সংবিধান বা ঐকমত্যকে ভিত্তি ধরে শিক্ষানীতি তৈরি করতে হবে। কারন আগের শিক্ষানীতি অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। সেই নীতিকে অনেক অসঙ্গতি ও গ্যাপ রয়েছে। তাই সেটির ওপর ভিত্তি করে নতুন শিক্ষাক্রম করা যাবে না। একবারেই শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন, উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। তবে তিনি পথটি তৈরি করে দিতে চান।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, শিক্ষাক্রম নিতে এনসিটিবিতে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিছু পরিকল্পনা নেয়ান হয়েছে। তবে নোটবই আর কোচিং বাণিজ্যকে উদ্বুদ্ধ করে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চান না সচেতন অভিভাবকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category