মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

১১৮ প্রার্থী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপি

রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৭২ Time View

রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী ১১৮ জন প্রার্থী ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। এরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে এসব প্রার্থীর সিআইবি তথ্য যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য পেয়েছে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ২৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের ঋণের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীদের সিআইবি তথ্য যাচাই-বাছাই করে একটি প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন তৈরি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সপ্তাহিক ছুটির দিনও অফিস করেছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, এমন সব প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ১১৮ জনকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

আইন অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। তাই মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীর দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কোনো প্রার্থী ঋণখেলাপি থাকলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এ কারণে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারাও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। এছাড়া আপিলের শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনেও ঋণখেলাপি প্রার্থী ঠেকাতে ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হয়। আর যথাসময়ে ঋণ নবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারেন। অন্যথায় প্রার্থী হতে পারবেন না।

জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তাদের খেলাপি ঋণের তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। গত মঙ্গলবার এফআইডি থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পরিপত্র গত বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরিপত্রে বলা হয়, প্রার্থীদের ঋণখেলাপি তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দিতে হবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন বা তার আগেই। প্রার্থীদের ঋণখেলাপি সম্পর্কিত তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার দায়িত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। ভুল তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণের তথ্য মিলিয়ে দেখবেন এবং কোনো ঋণখেলাপি প্রার্থী হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category