জীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী হামলা,মাদক এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র শনাক্তে ২৩টি পয়েন্টে প্রশাসনের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি,সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীর পরিচয়,গতিপথ এবং সহযোগীরাও দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।শুক্রবার (২২ আগস্ট)সচেতন নাগরিক সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে শ্রীপুর পৌরসভা মাওনা চৌরাস্তায় এই উদ্যোগ নিয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শ্রীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল।এখানে অসংখ্য পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে,যেখানে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ২০ থেকে পঁচিশ লাখ মানুষ বসবাস করেন।দীর্ঘদিন ধরে উড়াল সেতুর নিচে চুরি,ছিনতাই, মাদক ও দেহব্যবসাসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হলেও প্রমাণের অভাবে অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল।শ্রীপুর পৌর নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন,চুরি,ছিনতাই, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাওনা চৌরাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কয়েকদিনের কাজ শেষ হয়েছে এবং এখন এগুলো চালু করা হয়েছে।সচেতন নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।শ্রীপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক সাঈদ চৌধুরী বলেন,অপরাধ দমনে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে,তা নজরে রাখা জরুরি।সচেতন নাগরিক সমাজের সাথে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য।নদী পরিব্রাজক দলের সাধারণ সম্পাদক সফি কামাল বলেন,মাওনা চৌরাস্তায় চুরি,ছিনতাই,মাদক ও দেহ ব্যবসার মতো বিভিন্ন অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে হতো।সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধীদের শনাক্ত সহজ হবে এবং এতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন,অপরাধ দমনে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাওনা চৌরাস্তায় ২৩টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আইয়ূব আলী জানান,মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে,চাঁদাবাজি,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই প্রতিরোধে এবং উড়াল সেতুর নিচে-উপর অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে এবং বিভিন্ন অপরাধ দমনে মাওনা চৌরাস্তায় ২৩টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।