নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে বিতর্ক যেনো কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।সাম্প্রতিক সময়ে এই বিতর্কের পালকে যুক্ত হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে নানা অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীদের নিয়োগের অভিযোগ।
অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর বলয়ের কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও রমরমা বানিজ্য নিয়ে যখন ক্যাম্পাসে কানাঘুষা চলছে তখনই এটি সকলের সম্মুখে চলে আসে একটি ফেসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে,আব্দুল্লাহ ইউসুফ রাসেল নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার অসংগতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য চলে আসে যেখানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নিয়োগে স্বাধীনতা বিরোধী ইসলামি ছাত্রশিবিরের নাশকতার রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যৌন কেলেংকারীর অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক প্রার্থীকে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নিয়োগের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয় এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগে নয় জন প্রার্থী থাকলেও সবাইকে জানানো হয় এখানে নিয়োগ দেওয়া আছে তাই মাত্র তিনজন প্রার্থী উপস্থিত হয় এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে থাকা এক প্রার্থী যিনি চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী তিনিও আসতে নিরুৎসাহিত হন বলে পরবর্তীতে অভিযোগ পাওয়া যায়।
তৃতীয় অভিযোগে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী এবং সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম যোগ্য ও রেজাল্টধারী প্রার্থীকে নিয়োগের অভিযোগ আসে।চর্তুথ অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ আসে যেখানে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আগের রাতে নিয়োগ সিন্ডিকেটের শিক্ষকেরা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডিনকে ভিসি বাংলোয় ডেকে নিয়ে সিলেক্টেড প্রার্থীদের নিয়োগের দফারফা করে।
এছাড়াও অভিযোগ আসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগে দুটি পদের বিপরীতে মাত্র দুইজন প্রার্থী ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করলেও অনিয়ম করে সাতজন প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়,নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থী স্বল্পতার কারনে বোর্ড বাতিল হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে শিক্ষক স্বল্পতার অযুহাত দেখিয়ে একজন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও পরবর্তীতে আরেকজন প্রার্থীর অসমাপ্ত রেজাল্টের কাগজপত্র ভাইভার এক সপ্তাহ পরে জমা নিয়ে তাকেও নিয়োগ প্রদানের জন্য উঠেপড়ে লাগে একটি চক্র।
নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ গুলো যখন ক্যাম্পাসে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে ঠিক তখনই এসব অভিযোগের তদন্ত না উলটো এই নিয়োগের অসংগতি ও অনিয়ম এবং বানিজ্যের অভিযোগকে হালাল করতে তড়িঘড়ি করে রিজেন্ট বোর্ড বসিয়ে অনিয়ম ও রমরমা বানিজ্যের নিয়োগ কে জায়েজ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষকেরা মনে করে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার এসব অনিয়মের ব্যাপারে সোস্যাল মিডিয়ায় যেসব সংবাদ প্রচার হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতে ক্ষুন্নকরছে তাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হওয়া উচিত।
Leave a Reply