মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

কোটালীপাড়ার দূর্গা পূজা ‘শরৎ কালের দুর্গা পূজার উৎপত্তি ‘

সুধাণ্য ঘরামী, কোটালীপাড়া ( গোপালগঞ্জ)
  • Update Time : সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৬ Time View

সুধণ্য ঘরামী, কোটালীপাড়া:

বিশ্ব শান্তি ও মানব কল্যাণ কামনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গা পূজার চলছে প্রস্তুতি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ৩২১ পূজা মন্দির কমিটি দেবী দুর্গার আরাধনা জন্য ব্যস্ত। চলছে মন্দির সাজানোর কাজ। প্রতি মন্দির কমিটি সরকারী সিকিউরিটি ছাড়া নিজস্ব ভলান্টিয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার করার চেষ্টা করছে।
কৈলাস ছেড়ে মর্তে আসছে মা দেবী দুর্গা ৫ দিনের জন্য। বিশ্ব শান্তি ও মানব কল্যাণ কামনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব। শরৎ কালে দেবী দুর্গার আরাধনার আরেক নাম অকাল বোধন। মূলতঃ পুরা কাল থেকে বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা হত। বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা হত বলে দেবী দুর্গার আরেক নাম বাসন্তী। তাইতো বসন্ত কালে অনুষ্ঠিত দেবী দুর্গার আরাধনা ‘বাসন্তী পূজা’ নামে পরিচিত। তবে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজা উৎপত্তি ত্রেতাযুগে। তখন অসুরদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। অসুর নিধন ও সাধুদের রক্ষার জন্য যুগবতার রুপে আবির্ভূত হন শ্রী শ্রী রাম চন্দ্র। রাক্ষস রাজ রাবন মাতা সীতাকে হরণ করেন। জগত মাতা সীতাকে উদ্ধার জন্য যুদ্ধ বাধে শ্রী রাম চন্দ্রের লংকাধিপতি শ্রী রাবনের সাথে। রাবন যেমন অসুর তেমনি ভক্ত। যুদ্ধে রাবনের স্ব-বংস নিধন করা হলেও তিনি অপরাজেয়। যুদ্ধে আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গার আশির্বাদ প্রয়োজন। কিন্তু শরৎ কাল। দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়া মা দূর্গা পুজিত হন বসন্ত কালে দেবী বাসন্তী রূপে।

মাতা সীতাকে উদ্ধারের জন্য এত সময় অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তখন শ্রী রাম চন্দ্র আরম্ভ করলেন দেবী দুর্গার আরাধনা। অনেক বাধা উপেক্ষা করে জগৎ জননী মাতা দেবী দুর্গাকে তুষ্ট করলেন জলে, ফুলে ও নয়ন জলে। এরপর যুদ্ধে রাবনকে বধ করে ধার্মিক বিভিষনকে রাজা করে মাতা সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এলেন।
সেই থেকে দেবী দুর্গা অল্পে তুষ্ট হন ভেবে মানব জাতি শরৎ কালের দুর্গা পূজার আনন্দে মেতে উঠেছে।
পুরা কালে রাজরাজাধিরা ছাড়া বাসন্তী পূজা রুপী দেবী দুর্গার আরাধনা সম্ভব হত না। দেবী দুর্গার অনেক রূপ। বিভিন্ন রূপে অসুর বধ করেছেন। অসুর রাজ মহিষাশুর কে বধ করে পুজিত হন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category