সুধণ্য ঘরামী, কোটালীপাড়া:
বিশ্ব শান্তি ও মানব কল্যাণ কামনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গা পূজার চলছে প্রস্তুতি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ৩২১ পূজা মন্দির কমিটি দেবী দুর্গার আরাধনা জন্য ব্যস্ত। চলছে মন্দির সাজানোর কাজ। প্রতি মন্দির কমিটি সরকারী সিকিউরিটি ছাড়া নিজস্ব ভলান্টিয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার করার চেষ্টা করছে।
কৈলাস ছেড়ে মর্তে আসছে মা দেবী দুর্গা ৫ দিনের জন্য। বিশ্ব শান্তি ও মানব কল্যাণ কামনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব। শরৎ কালে দেবী দুর্গার আরাধনার আরেক নাম অকাল বোধন। মূলতঃ পুরা কাল থেকে বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা হত। বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা হত বলে দেবী দুর্গার আরেক নাম বাসন্তী। তাইতো বসন্ত কালে অনুষ্ঠিত দেবী দুর্গার আরাধনা ‘বাসন্তী পূজা’ নামে পরিচিত। তবে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজা উৎপত্তি ত্রেতাযুগে। তখন অসুরদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। অসুর নিধন ও সাধুদের রক্ষার জন্য যুগবতার রুপে আবির্ভূত হন শ্রী শ্রী রাম চন্দ্র। রাক্ষস রাজ রাবন মাতা সীতাকে হরণ করেন। জগত মাতা সীতাকে উদ্ধার জন্য যুদ্ধ বাধে শ্রী রাম চন্দ্রের লংকাধিপতি শ্রী রাবনের সাথে। রাবন যেমন অসুর তেমনি ভক্ত। যুদ্ধে রাবনের স্ব-বংস নিধন করা হলেও তিনি অপরাজেয়। যুদ্ধে আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গার আশির্বাদ প্রয়োজন। কিন্তু শরৎ কাল। দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়া মা দূর্গা পুজিত হন বসন্ত কালে দেবী বাসন্তী রূপে।
মাতা সীতাকে উদ্ধারের জন্য এত সময় অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তখন শ্রী রাম চন্দ্র আরম্ভ করলেন দেবী দুর্গার আরাধনা। অনেক বাধা উপেক্ষা করে জগৎ জননী মাতা দেবী দুর্গাকে তুষ্ট করলেন জলে, ফুলে ও নয়ন জলে। এরপর যুদ্ধে রাবনকে বধ করে ধার্মিক বিভিষনকে রাজা করে মাতা সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এলেন।
সেই থেকে দেবী দুর্গা অল্পে তুষ্ট হন ভেবে মানব জাতি শরৎ কালের দুর্গা পূজার আনন্দে মেতে উঠেছে।
পুরা কালে রাজরাজাধিরা ছাড়া বাসন্তী পূজা রুপী দেবী দুর্গার আরাধনা সম্ভব হত না। দেবী দুর্গার অনেক রূপ। বিভিন্ন রূপে অসুর বধ করেছেন। অসুর রাজ মহিষাশুর কে বধ করে পুজিত হন।