মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন রংপুর সাংবাদিক সমাজের

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৫ Time View

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর:

রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ করে সিটি কর্পোরেশনে নির্যাতন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা এবং মব তৈরি করে সাংবাদিকদের মারধর এবং হেনস্থার মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে গণমাধ্যমকর্মীরা। সেখান থেকে অপহরণ ও হামলাকারীদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন তারা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে রংপুর সাংবাদি ইউনিয়ন- আরপিইউজে, প্রেস ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব , রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনসহ দুই শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগি রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান স্বপন চৌধুরী, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিউজ২৪ টিভির ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম মানিক, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান নাজমুল আলম নিশাত, দৈনিক প্রথম খবরের নির্বাহী সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবলা, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ জীবন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শরীফা বেগম শিউলি, রংপুর বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম জাকির হোসাইন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সকালের বানীর আসাদুজ্জামান আফজাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রকি, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান জুয়েল,এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মোকাররম হোসাইন প্রমুখ।

তারা অভিযোগ করেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ উপস্থাপন করে মামলা দেয়া হয়েছে। মাত্র ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ দিয়ে শেয়ার করছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মামলা করার চেস্টা করছে। সিটি করপোরেশন মাত্র ৩ জনকে আইওয়াশ বদলি করে দায় সেরেছে। এটা উদ্বেগজনক।পরে সাংবাদিকদের ঘেরাও কর্মসূচিতে আসেন পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী। ঘেরাও কর্মসূচি থেকে তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় আসামীদের গ্রেফতারে। তা করা নাহলে ধারাবাহিক আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব একুশে টেলিভশন, দৈনিক সংবাদ ও বাংলা ট্রিবিউনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লিয়াকত আলী বাদলকে তাঁর করা একটি প্রতিবেদনের জেরে গেলো ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে নগরীর কাচারীবাজার থেকে ‘জুলাই যোদ্ধার পরিচয়ে রকি নামের এক যুবকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী অপহরণ করে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিউজ করার জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে বলে অটো রিকশাতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা সাংবাদিক বাদলকে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তাঁকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে নির্যাতন করতে করতে নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে নিয়ে নির্যাতন ও গালিগালাজ করতে থাকে। সাংবাদিকরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে সাংবাদিকরা চলে আসার জন্য তৈরি হলে সেখানে সিটি করপোরেশনের চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রধান ফটক আটকে দিয়ে আবার নির্যাতন করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ ঘটনায় সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদুল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামার ব্যক্তির বিরুদ্দ্ধে মামলা দায়ের করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ ও ৬ নম্বর নামীয় আসামীকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্ত অন্যান্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফেসবুকে লাইভ করছে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের নামে বিষোদাগার করছে। আসামীরা থানায় গিয়ে সাংবাদিকদের নামে মামলা করার জন্য চেস্টা করছে। নানাভাবে মিথ্যাচার, হুমকি ধামকি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেস্টা করছে। এতে সাংবাদিক সমাজ গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন এবং উৎকণ্ঠিত ও নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে নামীয় এবং অজ্ঞাত আসামীদের আগামী তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করা না হলে ধারাবাহিকভাবে কঠোর কর্মসূচিতে পালন করা হবে।

এ বিষয়ে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে এবং সিটি করপোরেশনের জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ করা না হলে ধারাবাহিক আন্দোলনে যাওয়া হবে। সময় নিজ দফতর থেকে সাংবাদিকদের ঘেরাওস্থলে নেমে আসেন পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী। তিনি স্মারকলিপি গ্রহন করে বলেন, এরই মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে নেপথ্যের কয়েকজনের নামও এসেছে। বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া হবে। গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর লিয়াকত আলী বাদল দৈনিক সংবাদে রংপুরে জুলাই যোদ্ধার নামে অটোর লাইসেন্স, পাঁচ কোটি টাকার বাণিজ্যের পাঁয় তারা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদের জেরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে মারধোর ও তার প্রকাশিত সংবাদের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করানোর চেস্টা করা
এ দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাস

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category