শরিফা বেগম শিউলী,স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ, মারধর ও সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ সংহতি সমাবেশ করেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, চার্জশিট প্রদান ও বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরুর দাবি জানানো হয়। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু সমাবেশে বলেন, আমি ১৭ বছর আন্দোলন করেছি—সাংবাদিকদের অপহরণ বা মব সৃষ্টি করার জন্য নয়। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি সাংবাদিক নির্যাতনের চেষ্টা করে, তাদের কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না। রংপুরে এই চক্র আরও বড় ধরনের অরাজকতা ঘটাতে পারে—তাই প্রশাসনকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলায় যারা যুক্ত, তারা যে দলেরই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে সাংবাদিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ—তাদের ওপর হামলা মানে সমাজের ওপর হামলা। তারা আরও বলেন, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছে এটা চলতে পারে না। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে যেন আর কোনো সাংবাদিককে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার চাইতে না হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, জুলাই রাজবন্দির নামে অটোরিকশা লাইসেন্সের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে দিনে দুপুরে অপহরণ করে সিটি করপোরেশনে নিয়ে মারধর করা হয়েছে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে যা নজিরবিহীন। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ঘিরে রেখে হেনস্তা করা হয়ছে। তারা জানান, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অথচ ঘটনার মূল হোতারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাংবাদিক সমাজের দাবি—দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
প্রকাশক: মোঃ আবু নাইম, সম্পাদক: তরিকুল ইসলাম , ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুজ্জামান দীপু, বার্তা সম্পাদক: ফারহান খান লাবিব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: rupantorsangbad@gmail.com