কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ 

গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত ১৯ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, নওশের মোল্লার সমর্থক হাফিজুর মোল্লা, বদরুল দাড়িয়া, রফিক দাড়িয়া, নূরু দাড়িয়া, কদরুল দাড়িয়া, ইমদাদুল মোল্লা, আজমির মোল্লা, খায়রুল মোল্লা, আইয়ূব মোল্লা, সাহেব আলী মোল্লা, সোহেল মোল্লা। এদের মধ্যে সাহেব আলী মোল্লা, আজমির মোল্লা ও নূরু দাড়িয়ার শারিরীক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মিটু মোল্লার সমর্থক, জায়েদ মোল্লা, বাবু মোল্লা, ছোবাহান মোল্লা, নুর আলী, বাবলু মোল্লা, কুদ্দুস মুন্সী, আব্বাস মোল্লা ও রাকিব মোল্লা। ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, পূ্র্বের একটি সালিশে জরিমানা করাকে কেন্দ্র করে বোড়াশী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেকেন্দার মোল্লা ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিটু মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মারাত্মক আহত ১৯ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ খায়রুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।