শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৌলতপুরে বিএনপির প্রার্থীতা পরিবর্তনের দাবিতে গনসমাবেশ করেছে জুয়েলের সমর্থক’রা ত্রিশালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ নড়াইল ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসক এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় তৃপ্তিকে বিজয়ী করতে গোগায় উৎসবমুখর উঠান বৈঠক বেনাপোলে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গরীবের চিকিৎসক খ্যাত ডাক্তার তোতা আর নেই রংপুর বিভাগীয় বই মেলা বর্জন কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদে ও থানায় ককটেল বিস্ফারণ,  আহত ৩ পুলিশ সদস্য

গোপালগঞ্জে অফিস সহকারী এম. এ রশিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২২৮ Time View

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত অফিস সহকারী এম. এ রশিদের বিরুদ্ধে নানা-অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে
তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে অফিস সহকারী (৩য় শ্রেণির কর্মচারী) পদে কর্মরত।

সরকারি বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি/ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত জিনিসপত্র যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা, নীতিমালা বহির্ভূতভাবে স্বজনপ্রীতি করে
নিজের স্ত্রীর নামে (অন্য জেলার ভোটার) বিভিন্ন জেলায় ভুয়া সমিতির নিবন্ধন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা থেকে ল্যাকটেটিন ভাতা উত্তোলন, ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ডধারীদের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত অফিস না করা, হাজিরা খাতায় পূর্বের অনুপস্থিতির ফাঁকা ঘরে স্বাক্ষর করা। বৈধ আয়ের সংস্থান না থাকলেও খুলনা শহরের হাফিজ নগর, সোনাডাঙ্গা এলাকায় একাধিক বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রীর চিকিৎসার নামে একাধিকবার বিদেশ গমণ, ২০২৩ সালে স্ত্রীকে নিয়ে হজ্ব পালন সহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি ইতোপূর্বে অভিযুক্ত এম.এ রশিদের কর্মস্থল টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে গিয়ে তার বিষয়ে নিয়মিত অফিস না করার সত্যতা পান। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে অভিযুক্ত এম. এ রশিদের নিকট তার স্ত্রীর নামে কোথায়? কি কি নামে কয়টি? নিবন্ধন করেছেন? সমিতির কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে আরো চার/পাঁচশো সমিতি আছে, যেগুলো উপ-পরিচালক অনুমোদন দিয়েছেন, আগে সেগুলোর খোঁজখবর নিয়ে আসেন। পরে আমারটার খোঁজ নেন। এছাড়া সাংবাদিকরা বিগত ১০ বছর যাবত আমার বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছে, কিছুই করতে পারেনি, আপনিও লেখেন।

গোপালগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কাশিয়ানী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট মুঠোফোনে অভিযুক্ত অফিস সহকারী এম. এ রশিদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে রয়েছেন, পরে কথা বলবেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন এমনটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category