মোঃ হাছিব সরদার, মোংলা
দীর্ঘদিন ধরে মোংলায় এসিল্যান্ডের (উপজেলা সহকারী কমিশনার, ভূমি) নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হবে এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছেন একটি প্রতারক চক্র। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছেন এসিল্যান্ড। তবে আলোচিত বিষয় হলো চাঁদা দাবীর ঘটনায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নাম আসায় শহরজুড়ে নানা গুঞ্জনসহ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত ২৬নভেম্বর মোংলা পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুজ্জামানের কাছে এসিল্যান্ড সেজে/পরিচয়ে তার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬/৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে, এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন তিনি। এ ঘটনায় ভূয়া এসিল্যান্ড সাজা পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে ২৭নভেম্বর পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেসার্স জালাল স্টোরের মালিক মুদি ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুজ্জামান। গত ২৬নভেম্বরের ঘটনায় ২৭নভেম্বর পৌর মেয়রের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধামাচাপা থাকলেও পৌরসভা ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিষয়টি বুধবার (১৩ডিসেম্বর) ফাঁস হয়।
এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ পাওয়া কাউন্সিলর মোঃ বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)/এসিল্যান্ড মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তার নাম ভাঙ্গিয়ে কিছুদিন ধরে একটি বড় প্রতারক চক্র বিভিন্ন জায়গা ফোন দিচ্ছেন এবং টাকা চাইছেন। এসব বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন। এ ঘটনায় যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাহাদুর মিয়া তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন গত ২৬ তারিখে একটি অচেনা নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমি এসিল্যান্ড, আপনাদের মাদ্রাসা রোডের জালাল সাহেবের একটি বরফ মিল আছে তোর নাম্বারটা প্রয়োজন। সে মারা গেছে এখন তার সন্তানেরা আছে বলে আমি জানাই পরবর্তীতে তার কথা অনুসারে আমি দোকানে গিয়ে মনিরুজ্জামানের ফোন নাম্বারটি সংগ্রহ করে তাকে দেই।
Leave a Reply