মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

গাজীপুরে এসএমএপি এর প্রকল্প থেকে ঋণ করে হোসনা এখন স্বাবলম্বী

এস এম দূর্জয়, গাজীপুর
  • Update Time : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৬ Time View

এস.এম দুর্জয়, গাজীপুর

গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ব্রাঞ্চ আশা-এনজিও থেকে জাইকা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ইমপ্রুভমেন্ট এন্ড ডাইভারসিফিকেশন ফাইন্যান্সিং প্রজেক্ট (এসএমএপি) এর প্রকল্প থেকে ঋণ গ্রহণ করে হোসনা বেগম এখন স্বাবলম্বী।বুধবার (২৭ই ডিসেম্বর)সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বাঁশ তলা গ্রামের কৃষক ফারুকের স্ত্রী হোসনা বেগম প্রতিবেদককে জানান, আমি একজন সাধারন কৃষক।ভীষণ কষ্টে চলছিল আমার সংসার।টাকার অভাবে জমি চাষ করার জন্য আমার পুজি ছিলনা।ফলে স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করতে হতো।ফলে ফসলের উৎপাদন খরচ বেশী, হতো লাভ হতো কম।যে ফসল উৎপাদন হতো তাতে আমার সংসার চালানো সম্ভব হতো না। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো।

একদিন আশা- ভাওয়াল মির্জাপুর ব্রাঞ্চে ঋণের জন্য গেলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার স্যারের নিকট থেকে আশার ঋণের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারি।আশা ভাওয়াল মির্জাপুর ব্রাঞ্চ থেকে ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঋণ গ্রহণ করি।এভাবে পর পর ঋণ গ্রহণ করে সবজি চাষ করে আয় বৃদ্দি করে সংসার পরিচালনা করে আসছি।পরে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আমাকে জাইকা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এসএমএপি ঋণ সম্পর্কে বলেন, এসএমএপি প্রকল্পের ঋণের খুবই সুবিদা।এই ঋণের সার্ভিস চার্জ খুব কম তাছাড়া মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য।তাছাড়া আশা অফিসের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত আমার প্রকল্প পরিদর্শন করে কারিগরি সহায়তা সেবা প্রদান করেন।

আমি গত দুই বছর যাবত আশা ভাওয়াল মির্জাপুর ব্রাঞ্চ থেকে এসএমএপি প্রকল্পের ঋণ গ্রহণ করছি। ১ম দফা গত ০৫/১২/২০১৫ তারিখে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে সিম চাষ করি। তার পর এসএমএপি প্রকল্পে ১৭/ ১/২০১৯ তারিখে ৮০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করি, সর্বশেষ এসএমএপি প্রকল্পে ২০/ ৬/২০২৩ তারিখে ১ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে সিম চাষ করে আসছি।আমি এবং আমার পরিবার পুরোপুরি স্বাবলম্বী।তাছাড়া আশা এনজিও অফিস থেকে নিয়মিত কারিগরী সহায়তা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।এসএমএপি ঋণের পুরো টাকা প্রকল্পে বিনিয়োগ করে উপার্জন বৃদ্দি করে কিস্তি চালাতে আমার কোন কষ্ট হয়না।

তাছাড়া কারিগরী সহায়তা কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্দি পাওয়ায় সংসার স্বচ্ছলভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে।ঋণ গ্রহণের পর থেকে আশা-অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ আমার ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে আমাকে সুষম সারের ব্যবহার, ফসলের বীজ,ফসলের মৌসুম,পোকামাকড় দমনের পদ্ধতি,বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করায় আমি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছি।ফলে আমার উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে সুখে আছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category