কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ
“পথ ভোলা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন এবং একজন বৃদ্ধ মহিলা সহ দুই নারীকে পথের সন্ধান মিলিয়ে দিলেন গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।”
ঘটনা-১ঃ
গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন ১৯/২০ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মহিলাকে ০১ বছরের একটি মেয়ে শিশু বাচ্চা সহ থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, উক্ত মহিলা বেদগ্রাম হতে রিক্সায় যাওয়ার সময় তার পড়নের ওড়না রিক্সার চাকায় প্যাঁচিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় এবং সামান্য আহত হয়। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত মহিলা কোথা থেকে কিভাবে এখানে আসছে এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না।
এরপর গোপালগঞ্জ সদর থানার নারী পুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে তার নাম সোহানা, বয়স-১৯ বছর। তার সাথে থাকা শিশুটি সোহানার মেয়ে এবং তার নাম রহিমা। এরপর বিভিন্ন কৌশলে পুলিশ জিজ্ঞাসা করতে করতে মানসিক ভারসাম্যহীন সোহানা তার বাবার মোবাইল নাম্বার বলতে পারে। থানার ডিউটি অফিসার সোহানার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে ফোন করার পর সোহানার বাবা চলে আসেন থানায়। থানায় আসার পর সোহানার বাবা মোঃ সোহেল শেখ (৪৫), পিতা- সিকান্দার শেখ, সাং- বান্ধাবাড়ি, থানা- কোটালীপাড়া, জেলা- গোপালগঞ্জ তার মেয়ে এবং নাতনিকে সনাক্ত করেন। এরপর থানা হতে সোহানা এবং তার শিশু মেয়ে রহিমাকে সোহানার বাবার জিম্মায় প্রদান করা হয়।
ঘটনা-২ঃ
গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন নিচুপাড়া এলাকা হতে জনৈক আফরোজা বেগম নামের একজন ভদ্র মহিলা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানায় সংবাদ দেন যে, ৮৫/৯০ বছরের একজন বয়স্ক মহিলা তার বাসার দরজার সামনে আসে। কিন্তু সে বয়স্ক মহিলা তার কোন নাম-ঠিকানা বলতে পারেন না। তখন থানার ডিউটি অফিসার আফরোজা’কে উক্ত বয়স্ক মহিলাটিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আফরোজা বেগম বয়স্ক মহিলাকে থানায় আনার পর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান উক্ত বয়স্ক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, সে নিচুপাড়া তার ভাইয়ের বাসায় আসছিল।
কিন্তু সে বাসা চিনতেছে না কিংবা ভাইয়ের নামও বলতে পারতেছে না। তখন অফিসার ইনচার্জ বয়স্ক মহিলার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করিলে সে জানায়, তার বাড়ি বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়িতে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ বোড়াশী ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন করে বয়স্ক মহিলার বর্ণনা দেন। চেয়ারম্যান সাহেব স্থানীয় মেম্বার লিটনকে দায়িত্ব দেন। মেম্বার লিটন বর্ণনা অনুযায়ী বয়স্ক মহিলার মেয়ের সন্ধান পান। এরপর মেম্বারের ফোন কলে বয়স্ক মহিলার মেয়ে জেসমিন (৪০), স্বামী- মোঃ আব্বাস আলী, সাং- ভেন্নাবাড়ি, থানা ও জেলা- গোপালগঞ্জ থানায় আসার পর বয়স্ক মহিলা সামসুন্নাহার (৮৭)’কে তার মেয়ের জিম্মায় প্রদান করা হয়।
Leave a Reply