রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ
লম্বা ছুটি কাটিয়ে নতুন অভিযানের জন্য তরতাজা হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ভাবছেন বাংলাদেশের পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে। যেখানে তার দল ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে।
গত নভেম্বরে লেবাবনের বিপক্ষে ম্যাচের পর ছুটিতে যান কাবরেরা। দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় এসেছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ। পরের ম্যাচের আগে এখনও অনেকটা সময় পাচ্ছেন তিনি।
আগামী ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপের জন্য এ মুহূর্তে হচ্ছে না জাতীয় দলের ক্যাম্প।
কবে নাগাদ শুরু হবে, তা বলতে না পারলেও কোচ প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে চান মার্চের শুরুতেই। গত সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে করে দেশে ফেরার পথে বিমানবন্দরে ৬৪ বোতল মদ নিয়ে ধরা পড়েন আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মন, রিমন হোসেন, শেখ মোরসালিন ও তৌহিদুল আলম সবুজ। ক্লাবের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতীয় দলে তাদের রাখেননি কাবরেরা।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জিকো, তপু, মোরসালিরা মাঠে ফিরেছেন। ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) এসে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরাদের নিয়ে স্বস্তির কথা জানালেন কাবরেরা। কাবরেরা বলেন, তাদের ফেরাটা দারুণ ব্যাপার। কেননা, অনেক বছর ধরে তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। গত শুক্রবার বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে খেলতে দেখলাম তপুকে।
মাঠে ফেরাটা তার জন্য দারুণ ব্যাপার। সবার জন্য অবশ্যই এটা ভালো খবর। মোরসালিনের আরও লড়াই করা প্রয়োজন। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দলে আছে সে, যেখানে তার পজিশনে উঁচু মানের বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে। সে তরুণ এবং তার বোঝা দরকার যে, দলে জায়গা পেতে হলে তাকে লড়াই করতে হবে এবং কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এ মুহূর্তে এশিয়ান কাপে ব্যস্ত সময় কাটছে ফিলিস্তিনের।
কাতারের আল রাইয়ানে চলা এই প্রতিযোগিতায় ইরানের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরে যাত্রা শুরুর পর তারা দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ ড্রয়ে রুখে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। নকআউট পর্বে ওঠার আশা নিয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন।
ছুটির সময়ে দলটির খেলার দিকে চোখ রেখেছিলেন বলে জানালেন কাবরেরা। বড় স্বপ্ন না দেখলেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের কঠিন পরীক্ষা নেওয়ার আশাবাদ জানালেন এই স্প্যানিশ কোচ।
এবারের এশিয়ান কাপের নকআউট পর্বে যাওয়ার ভালো সুযোগ আছে ফিলিস্তিনের সামনে। তারা শক্তিশালী, উচ্চাভিলাষী, দৃঢ় প্রত্যয়ী এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা দল। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জ হবে এবং এ ম্যাচ নিয়ে আমরা খুবই শিহরিত।
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে চাই। আমরা জানি, সেরা ছন্দে আছি আমরা এবং ফিলিস্তিন, লেবাননের মতো শক্তিশালী দলগুলোর জন্য বিষয়গুলো কঠিন করে তুলতে পারি। কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিতে চাই না আমি। আশা করি, দেশের জন্য কিছু অর্জন করতে পারব আমরা।
Leave a Reply