এইচ,এম শহিদুল ইসলাম, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটংয়ের এক কৃষকের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়েছে। ওই গরু চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আলিম্যারঝিরি এলাকার মৃত উলা মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম ওরফে কসাই কাশেম।
মামলার নথিসূত্রে জানা জায়, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি দুপুর বারোটায় ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের কাছারি পাহাড় এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র ফজর আলী জুমপাড়ার একটি পাহাড়ি জায়গায় গরুটি ঘাস খাওয়ার জন্য রেখে আসলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চুরচক্র গরুটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে গরুটি জবাই করে তারা মাংস বিক্রয় করেন।
এর পর থেকে গরুটি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে স্থানীয় গ্রামপুলিশের সহায়তায় কসাই কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি কাশেমকে সাথে নিয়ে গরুর মালিক ভুক্তভোগী ফজর আলী পেকুয়া থানায় ৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আবুল কাশেম ওরফে কসাই কাশেম(২৮) গ্রেপ্তার হন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের খলিফা মোরা এলাকার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র জাকের হোছাইন(৩০), গুদিকাটা এলাকার মৃত আলী চাঁনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন(৩০),কাছারি পাহাড় এলাকার জাফর আলমের পুত্র জয়নাল আবেদীন(৩২), আলিম্যারঝিরি এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র মো.রিদুয়ান(৩৩)।
ভুক্তভোগী বলেন, একজন আসামী প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছে, বাকি আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, তাই আমি প্রশাসনের কাছে আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী করছি। আর আমার গরু চুরির যথাযথ বিচার দাবী করছি।
এনিয়ে ভুক্তভোগী ফজর আলীর আইনজীবী এডভোকেট মিজবাহ্ উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবুল কাশেম গরুচুরির বিষয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, একইসাথে অন্যান্য আসামীদের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকার করেন।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply