কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দক্ষিণ জলিড়পার এলাকায় রুহুল আমিন মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের মোল্লাদী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই দক্ষিণ জলির পাড়ে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী রুহুল আমিন মোল্লার অবর্তমানে তিন তলা বিশিষ্ট ভবন দেখা শোনার দায়িত্বে ছিলেন তার আপন শ্যালক বাবু শেখ (২৫)।
সে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, গতকাল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে চর প্রসন্নদির রাসেল, আশিক, আকাশ সাগর সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার দুলাভাইয়ের ভবনের নিচে লোহার কলাপসিবল গেটের সামনে এসে সোর-চিৎকার দিয়ে গেটের তালা হাতুড়ি ও ইট দিয়ে ভেঙ্গে ভবনের ৩ তলায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে খাট সহ অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে খাটের তোশকের নিচে একজনকে দেওয়ার জন্য রাখা নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও আমার বোনের ব্যবহৃত প্রায় ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।
আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে চড়-ঘুসি মারে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার ভয় দেখালে আমি এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ভবনের বিভিন্ন জানালা ইট দিয়ে আঘাত করে ভেঙে ফেলে। শুনেছি তারা স্থানীয় কিশোর গ্যাং-এর একটি সক্রিয় সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এবিষয়ে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি পরিবারকে ভীতসন্ত্রস্ত হতে দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত রোববার দুপুরে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রুহুল আমিন মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তার শ্যালককে মেরে আহত করে এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়।
পরে আমরা গিয়ে তেল-পানি দিয়ে সেবা করে সুস্থ করি। রুহুল আমিন মোল্লা যদি কোন বিষয়ে দোষী হয়। তাহলে তার জন্য দেশে আইন-কানুন রয়েছে। আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি সহ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে তাদের সাথে যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর সিন্দিয়া ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন বলেন, আমরা এখনো কোন অভিযোগ পাইনি তবে রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।
প্রকাশক: মোঃ আবু নাইম, সম্পাদক: তরিকুল ইসলাম , ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুজ্জামান দীপু, বার্তা সম্পাদক: ফারহান খান লাবিব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: rupantorsangbad@gmail.com