ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ২৪০ টি পরিবারের মধ্যে ৪০টি পরিবার এখন আর এসব ঘরে থাকে না। তারা বাধ্য হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে চলে গেছে। সেই জরাজীর্ন ঘর গুলো এখন ফাঁকা পড়ে আছে পরিত্যক্ত ফাঁকা ঘড়গুলোর মধ্যে ঘটছে নানা প্রকার অবৈধ ঘটনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৪টি ব্যারাকে টিনের ২৪০টি ঘর রয়েছে। অনেক ঘর ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। টিউবয়েল গুলো অকেজো হয়ে গেছে। নেই বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা। নাজুক অবস্থা প্রতিটি ব্যারাকের শৌচাগারের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে সব বয়সের মানুষ । বসত ঘরের টিনের চালায় মরিচা ধরে বড় বড় ছিদ্র হয়ে আছে। বৃষ্টি পানি থেকে রাক্ষা পাওয়ার জন্য টিনের চালার উপরে পলিথিন বিছিয়ে তার উপর ইট দিয়ে রাখা হয়েছে। ঘরের চারপাশের গাথুনির ইটের গাথুনি ভেঙ্গে পড়ে মেঝেন মাটি সরে গেছে। সিমেন্টের খুটিতে ফাটল ধরে কংক্রিট ধসে পড়ছে। বেড়ার কাঠপঁচে ও টিনে মরিচ ধরে কাঠ আলগা হয়ে বেড়ায় বড় বড় ফাকা তৈরি হয়েছে। ওই ফাঁকা অংশ দিয়ে অনায়াসে একজন ব্যক্তি ঘরে ঢুকে যেতে পারে। ফলে চুরির আশঙ্কায় দিন কাটে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় বাইশ-তেইশ বছর হয়ে গেছে ঘর গুলোর। এর মধ্যে প্রতিটি ঘরের টিনের চালা ও টিনের বেড়ায় মরিচা ধরেছে। ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়ে। শীতের মৌসুমে টিনের ফাঁকফোকর দিয়ে বাতাস ঢোকে। ফলে ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষের রোগ বালাই লেগেই থাকে। বর্তমান অবস্থা, এখানে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা বরু বিবি (৮০) বলেন, আমার কেউ নেই, বৃদ্ধ বয়সে চলতে ফিরতে পারি না, মানুষ যা দেয় তাই খাই। অনেক আগে সরকার এই ঘর দিয়েছে, এখন ঘর ভেঙ্গে গেছে ঝড় বৃষ্টি আসলে ভয় করে কোথায় যাব।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশে তাঁদের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। কাছাকাছি কোন প্রথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় তাদের সন্তানরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, বাঁশগাড়ি গুচ্ছগ্রামটি আমি সরজমিনে পরিদর্শন করবো এবং জরজীর্ন ঘরগুলোর জন্য সরকারি যে সুযোগ সুবিধা আছে, তার আওতায় আনার চেষ্টা করবো।