বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও পরিমান জানতে শুরু হয়েছে জরিপ

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪৬ Time View

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট 

বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সংরক্ষিত বনভূমি সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও পরিমান জানতে শুরু হয়েছে গাছ জরিপ।

বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার ( ১৯ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গাছ জরিপের কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবে বনকর্মীরা। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৬ বর্গ কিলোমটিার স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমান গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবন বিভাগের দেয়া তথ্য বলছে, ১৯০৩ সালে গবেষনায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিল। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্য কমে দাড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। ১৯৯৭ সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিল। এই অবস্থা থেকে ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ১৮৪টিতে। এরমধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ণ, ১২ প্রজাতির অর্কিড, ৩ প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাষ, ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে। বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে, এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, বাংলাদেশর সমগ্র সুন্দরবনের স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমান গাছপালা রয়েছে তা জানতে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সংরক্ষিত এই বনভূমির গাছ জরিপের কাজ। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে বনকর্মীদের মাধ্যমে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জরিপ কাজ শেষ হবে। তখনই জানা সম্বব হবে এখন সুন্দরবনে কতো প্রজাতির ও কোন প্রজাতির কি পরিমান গাছ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category