স্টাফ রিপোটারঃ

আসন্ন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী  ৮ মে। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেয়া হয়। প্রতিক পেয়েই প্রার্থীরা জোড়ালো প্রচারণায় নামেন। দিন রাত এক করে নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস দোয়াত কলম, মুজিবুর রহমান হাওলাদার চিংড়ি ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন।

আসন্ন কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার  সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন খান এর  জয়জয়কার সাধারন ভোটারদের মুখে মুখে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন খান কে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশাও রয়েছে। যা বিভিন্ন গনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভায় তার প্রতিফলন হিসেবে লক্ষ্য করা গেছে। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে এগিয়ে রাখছেন কোটালীপাড়া উপজেলাবাসী।

জানা যায়, দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল ত্যাগ, ধৈর্য্যশীল ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে পরিচিত মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান । এবার কোটালীপাড়া  উপজেলার জনপ্রিয় নতুন মুখ নতুন প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন খান । বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সবার সুপরিচিত তিনি। পাশাপাশি কোটালীপাড়া উপজেলার প্রতিটি এলাকায় তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির নির্মাণ থেকে শুরু করে অনেক সামাজিক কাজে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন খান  রাজনীতিতে নাম লেখান স্কুল জীবনের শুরুতেই। সেই থেকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে পৌঁছে গেছে অনেক দুরে।

বছরের পর বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ধারার সাথে তার নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে সকলস্তরের নেতাকর্মীর কাছে প্রাণপ্রিয় নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান । যার হৃদয়-আঙিনায় সবটুকু দরদ আর ভালবাসা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যিনি নিজেকে নিঃস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। দলের কাছে পরিচ্ছন্ন  রাজনীতির আদর্শ হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন খান  যেমন সাংগঠনিক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তেমনি তিনি পরোপকারী, দরদি ও দক্ষ সংগঠক হিসেবেও বেশ পরিচিত। নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে জাহাঙ্গীর হোসেন খান  বিজয়ী হিসেবে দেখতে চায় ভোটাররা। দলীয় প্রতীক না থাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিবে ভোটাররা, তবে ভোট দেবার ক্ষেত্রে অতীত ও বর্তমান নির্বাচিত প্রার্থীদের কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো বিবেচনা করে কোন উন্নয়নশীল পরিবর্তনশীল মুখ খুঁজে নেবার কথা জানালেন ভোটাররা। তবে ভোটদের মাঝে গুনঞ্জন উঠেছে তারা পরিবর্তন চায়।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের যোগ্যতা যাচাই ও উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন। কোটালীপাড়া উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার প্রার্থীতায় উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন। ফলে প্রতিদিন উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের পর গ্রামের ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছে। ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তবে ভোটাররা কর্মঠ ও পরিচ্ছন্ন হিসেবে এ নেতাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আগাম ঘোষণা করেছেন।

জানা গেছে- মানুষ তাঁকে বেশি চেনেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে। মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকাসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে জনসেবার হাত বাড়িয়ে দেন জাহাঙ্গীর হোসেন খান ।

তরুণ ভোটারদের অভিমত- ছোট বেলা থেকেই দেখছি মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ থেকে শুরু করে ক্রিড়াঙ্গণসহ নানা সামাজিক কাজে জাহাঙ্গীর হোসেন খান এর  ভূমিকা রয়েছে। তিনি কোটালীপাড়া  উপজেলার প্রতিটি মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন খান তারুণ্যের প্রতিনিধি। তিনি তরুণ ভোটারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন স্বচ্ছ-সৎ মানসিকতার রাজনৈতিকের মধ্যে যেসব গুণাবলী থাকা জরুরি, তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান এর মধ্যে আছে, যা উপলব্ধি করতে পেরেছেন কোটালীপাড়া উপজেলাবাসী। যে কারণে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন খান এর নামটি আলোচনায় শীর্ষে থাকছে। হয়তো উপজেলাবাসীই তাকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন  খান  বলেন- আমি বিগত দিন থেকে কোটালীপাড়া মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীতেও মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচন করছি। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি বিশ্বাস করি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আসন্ন কোটালীপাড়া  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনারা আমার পাশে থাকবেন, আমি সামনের দিকে অবশ্যই এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।