কামরুন্নাহারের ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার বোনের ফাইনাল পরীক্ষা চলা কালে খাতা কেড়ে নিবে এটা কেমন ধরনের অবিচার৷ আমরা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি৷ একজন প্রভাষক হয়ে বিনা কারণে একজন ছাত্রীর ফাইনাল পরীক্ষার খাতা এক ঘন্টা অবরুদ্ধ রেখেছে। আবু রায়হানের কি দাবি আছে পারিবারিকভাবে আমাদের সাথে বসতে পারত। মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের প্রিন্সিপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷ তিনি যেন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন৷
স্থানীয় ও সাবেক ছাত্ররা জানান, তারাও এ কলেজে পড়াশোনা করেন বা পরীক্ষার্থী। শিক্ষকদের সঙ্গে কখনো তারা বেয়াদবি করেননি। এটি একটি জঘন্যতম ঘটনা। ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে ১ ঘন্টা খাতা অবরুদ্ধ রাখে প্রভাষক আবু রায়হানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শাস্তি ছাড়া কোনো সমাধান নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক আবু রায়হান এর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছিল সে পিছনে অন্যান্য শিক্ষার্থীর দেখিয়ে লেখার চেষ্টা করছে। আমি নকল ও পিছনের দিকে তাকিয়ে লেখার অপরাধে তার খাতা একঘন্টা অবরুদ্ধ রেখেছিলাম৷ পরে আমি তাকে খাতা দিয়েছি৷ কামরুন্নাহারের বাবার সঙ্গে আপনার পরিবারিক বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভাষক আবু রায়হান বলেন এখানে পারিবারিক কোনো বিষয়বস্তু নয় আমার নৈতিকতার জায়গা থেকে নকল করার অপরাধের তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷
বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউন নবীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, (৩০মে) বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালীন এ বিষয়টা ঘটেছে ওই দিন কেউ আমাকে অবগত করেনি। ( ৩১মে) শুক্রবার দিন আমি জেনেছি পারিবারিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষার্থী খাতা কেরে নিবে এটি মোটেও সমচিন নয়। আমরা প্রশাসনিকভাবে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷
Leave a Reply