পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং হাজিবাজারের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। আজ ৩ জুলাই(শনিবার) দুপুর দু’টায় নিজবাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহতের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ (মানিক)।
নুর মোহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের মধুখালী এলাকার তাজুর মূল্লক এর ছেলে ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম এবং তার ভাই বহু মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আবু হামিদসহ তার ভাইয়েরা একটা ট্রাক্টর এর বিষয় নিয়ে আমার ছোট ভাই মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন।
বিগত ৩১/০৭/২০২৪ ইং বুধবার সকাল আনুমানিক ৯টার সময় সাদ্দাম টইটং হাজিবাজার তার ব্যবসায়ীক দোকানে আসার সময় মধুখালীস্থ কাশেমের দোকানের সামনে দিয়ে আসলে, সাদ্দামকে একা পেয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা আবুল কাশেম ও তার ভাই আবু হামিদ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দা-চুরি নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমার ভাই সাদ্দামের হাতে থাকা ১টি ইনফিনিক্স এন্ড্রয়েড মোবাইল আরেকটি অপ্পো এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে, কোমরে বেঁধে রাখা ব্যবসায়ীক ১,০৭,৫০০ টাকা নিয়ে নেয়।
নুর মোহাম্মদ আরো বলেন, গত কয়েকবছর পূর্বে সন্ত্রাস আবু হামিদ ও তার ভাই আবু তালেবকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চট্টগ্রামস্থ নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে মাদক নিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করলে কারাভোগ করতে হয়। এমতাবস্থায় আবু তালেবকেও সেনা সদস্য থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারা এখন এলাকায় প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ভাইকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা করলে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। কাদা মাটিতে আমার ভাইকে চেপে ধরলে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়জনতা সন্ত্রাস আবু হামিদকে দা’সহ আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। আমরা ঘটনার দিনই পেকুয়া থানায় লিখিত এজাহার দিলেও এখনো অদৃশ্য কারণে থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। কিন্তু এখনো আমাদের পরিবারের সদস্যরা উল্টো হামলা এবং মামলার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আহতের বাবা ও চার নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মো. এলাহদাত এবং প্রতক্ষ্যদর্শীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply