বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টুঙ্গিপাড়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পেকুয়া শহীদ ওয়াসিমের স্মরণে স্মৃতি ফলক উন্মোচন ও বৃক্ষ রোপণ  জুড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন  ত্রিশালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে খেলা ও পুরস্কার বিতরণ জুলাই শহিদ পরিবার,আহত ও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিয়ে সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল শ্রীপুরে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালীতে জনতার ঢল  ট্রাম্পকে গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি ইসরায়েলি অবসরপ্রাপ্ত ৬শ’ কর্মকর্তার গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জুলাই ঘোষণাপত্র: তাহেরের নেতৃত্বে অংশ নেবে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

স্মারকলিপি দিয়েছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজার

এইচ,এম শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৭২ Time View

এইচ,এম শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার 

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় আমার বয়স তিন বছর। ওই ঘটনার পর বাবা চাকরিচ্যুত হয়। বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়। চার বছর সাজাকালীন বাবা ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবাকে ছাড়া অনেক কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। আজ বেঁচে থাকলে ন্যায্য দাবিতে আংকেলদের সঙ্গে বাবাও অংশ নিতেন। এই দাবিগুলো পূর্ণ হলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’

কথাগুলো বলছিলেন সাবেক বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমান বিজিবি) সৈনিক কাঞ্চন ভট্টাচার্যের মেয়ে শমা ভট্টাচার্য। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, কাঞ্চন ছিলেন তাদের একজন। ওই ঘটনায় চাকরিচ্যুত অন্যদের পক্ষ থেকে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজার সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্মারকলিপি দিয়েছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজার। পরে সেখান থেকেই স্মারকলিপি দেন হাবিলদার মো. একরামুল হুদা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার একটি দেশকে সন্তুষ্ট করতে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও বিডিআরকে (বর্তমানে বিজিবি) ধ্বংস করে নিজেদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার স্মারকলিপি দেন সাবেক বিডিআর সদস্যরা।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্মারক লিপিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে ৯টি দাবি জানানো হয়।

এ সময় বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজারের উপদেষ্টা হাবিলদার শামসুল হক, মো. শফিউল আলম ও মো. কামাল হোসেন, সভাপতি হাবিলদার মো. একরামুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক ল্যান্স নায়েক নুরুল আবছার, এডমিন বেলাল ও পেকুয়ার সমন্নয়ক এসএম এ রহিম সহ চাকরিচ্যুত বিডিআর ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category