রুপান্তর সংবাদ ডেস্ক:
আগামী ২২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাশের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আনু মুহাম্মদ বলেন, এবারের বাজেটে দেখা যাচ্ছে যে সুদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। এটা যদিও বর্তমান সরকারের দোষ না। এটার জন্য আগের সরকারই দায়ী।
তিনি বলেন, আমাদের এখন যেসব সংস্কার কমিটিগুলো রয়েছে, তারা যেসব সুপারিশ দিয়েছে- সেগুলো অল্প করেও যদি বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলেও বাজেটে কিছুটা নতুনত্ব আসতো। সংস্কার কমিশনগুলো কি স্রেফ অলংকার হিসেবে রয়েছে নাকি, আমার জানা নেই।আমি চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হোক।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার মেগাপ্রকল্প থেকে বেরুতে চায়, এটা তাদের প্রত্যাশা।কিন্তু যেসব মেগাপ্রকল্প এখন চলমান রয়েছে, সেগুলোরও একটি পর্যালোচনা করতে হবে।উন্নয়ন নাম দিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বিলাসী ও জনগণের জন্য বিপজ্জনক। রূপপুর, মাতারবাড়ী, রামপাল- এসব প্রকল্প থেকে সরকারের বের হয়ে আসার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি।এখন থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিতে পারত, তা হলো জাতীয় সক্ষমতার উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো।আর এই বিকাশ ঘটানো হলে অনেক কম দামে আমরা গ্যাস পাব, বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি রয়েছে- তা আর দিতে হবে না।পরিবেশ বিনাশী কোনো প্রকল্পেও যেতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, তবে দুঃখজনক এই যে, বর্তমান সরকার যে বাজেট উপস্থাপন করেছে, তাতে এই ধরনের পরিকল্পনা নেই।বাজেটে আগের ধারাবাহিকতাই দেখা যাচ্ছে; যে ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন শুধু শিরোনামে দেখা যায়, বাস্তবতায় হলো জনগণের জীবন বিপন্নকারী।আমরা চাই, ২২ জুনের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে- তা সংশোধন করা হোক।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন লেখক কল্লোল মোস্তফা ও গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ।
Leave a Reply