বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টুঙ্গিপাড়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পেকুয়া শহীদ ওয়াসিমের স্মরণে স্মৃতি ফলক উন্মোচন ও বৃক্ষ রোপণ  জুড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন  ত্রিশালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে খেলা ও পুরস্কার বিতরণ জুলাই শহিদ পরিবার,আহত ও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিয়ে সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল শ্রীপুরে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালীতে জনতার ঢল  ট্রাম্পকে গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি ইসরায়েলি অবসরপ্রাপ্ত ৬শ’ কর্মকর্তার গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জুলাই ঘোষণাপত্র: তাহেরের নেতৃত্বে অংশ নেবে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

টাকা উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে: অধ্যাপক ইউনূস

রুপান্তর সংবাদ ডেস্কঃ
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ৩৩ Time View

রুপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া দেশের অর্থ উদ্ধার করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করেছে। ব্রিটিশ সরকার এ প্রয়াসে ‘অত্যন্ত সহায়ক’ ভূমিকা পালন করছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা যে দ্রুততা দেখিয়েছেন, আমি তার জন্য অনেক প্রশংসা করি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহায়তার সুযোগ খুঁজছে। বিশেষ করে হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ধারণা, হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এসব অর্থের বেশিরভাগই যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে অথবা খরচ করা হয়েছে।

লন্ডনে আইএসিসিসিকে জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) আমন্ত্রণ জানায়। এনসিএর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রকৃতি সম্পর্কে নিয়মিত মন্তব্য করি না। যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদারের তদন্তে সহায়তা দেওয়া হয়—তা নিশ্চিত করি না।’

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসে কিং চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির পার্লামেন্টে বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

রেনল্ডস এক টুইট বার্তায় জানান, তারা ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ও সমৃদ্ধির জন্য তাদের পারস্পরিক যৌথ আকাঙ্ক্ষা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যবস্থা করতে পারেননি। টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একই নির্বাচনি এলাকার প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, নাকি দুঃখিত হওয়া উচিত। এটি একটি হারানো সুযোগ।’

স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

চারদিনের সফর শেষে অধ্যাপক ইউনূস শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান। সফরকালে একাধিক বৈঠক ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কের আরও বিস্তৃত ও গভীরতাকে তুলে ধরে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category