রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে প্রতিবাদ ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক তুহিন হত্যার নেপথ্য কারণ কারণ জানালো পুলিশ,১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস পুলিশের ভূমি অফিসে চাকরি করে বলে কবরস্থান দখলের পায়তারা শ্রীপুর প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মালেক,সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল রাজশাহীতে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন রংপুরে তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ত্রিশাল প্রেসক্লাবের মানববন্ধন নওগাঁয় বিএমএসএফের উদ্যোগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জরুরি সভা গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  নড়াইলে কেরাম খেলে বাড়ি ফেরেনি শোয়েবুর,পরদিন পুকুরে মিললো মরদেহ

ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে এখনও গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়: তারেক রহমান

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক
  • Update Time : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৩৩ Time View

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে দেশের গণমাধ্যম এখনও পুরোপুরি মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল। ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েছিল। তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। চিরায়ত গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং যার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।

বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি লিখেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুন:প্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল জানিয়ে তারেক রহমান আরও লিখেছেন, সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ।  বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সব পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শংকিত থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দী করা হয়েছিল।

তিনি লিখেছেন, বিগত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়। সবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category