রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:
শুক্রবার, ১৩ জুন থেকেই টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। ইসরায়েলের হামলায় সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি জীবন গেছে পাঁচ শতাধিক বেসামরিক ইরানির। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে দেশটির রাজধানী তেহরান, বলা চলে শহরটি এখন প্রায় জনমানবশূন্য। হামলা-পাল্টা হামলার পাশাপাশি এই যুদ্ধে সক্রিয় হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল, দুই পক্ষের শত্রু-মিত্ররাও। এতবড় নৃশংসতার পরও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ সংস্থাটির নীরব ভূমিকায় বিস্মিত ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। প্রত্যাশা করছেন, ওআইসিসহ সব রাষ্ট্রই ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।
তিনি বলেছেন, ইরানে যা হচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ। সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশন লংঘন করছে ইসরায়েল। এসব ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতা বিস্ময়কর। ওআইসি বৈঠকে বসছে। আমরা চাই, সব দেশ এই অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক, কথা বলুক। বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ইরানে ভয়াবহ হামলার নিন্দা করেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই রাষ্ট্রদূত বলছেন, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র্রের সাথে আলোচনা অনেক দূর এগোনোর পর হামলা করেছে তেল আবিব। তবে তেহরান এখনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে তা পারস্য উপসাগর তথা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা অনেকের। ইরান বলছে, এর প্রভাব দৃশ্যমান হবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ও দামে। মানসুর চাভোশি বলেছেন, যুদ্ধ আমরা চাই না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে কিছু করার নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে তেলের পরিবহন ব্যবস্থায় ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। ফলে দামও বাড়তে পারে আরও। কতটা বাড়বে, তা আমাদের জানা নেই। ইরানের রাষ্ট্রদূতের আশা, ন্যায়-অন্যায়, সত্য বনাম মিথ্যার যুদ্ধে বিশ্বের বিবেকমান মানুষ প্রক্যাশ্যে বা নীরবে তাদের পক্ষেই থাকবে।
Leave a Reply