বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টুঙ্গিপাড়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পেকুয়া শহীদ ওয়াসিমের স্মরণে স্মৃতি ফলক উন্মোচন ও বৃক্ষ রোপণ  জুড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন  ত্রিশালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে খেলা ও পুরস্কার বিতরণ জুলাই শহিদ পরিবার,আহত ও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিয়ে সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল শ্রীপুরে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালীতে জনতার ঢল  ট্রাম্পকে গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি ইসরায়েলি অবসরপ্রাপ্ত ৬শ’ কর্মকর্তার গণঅভ্যুত্থান দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জুলাই ঘোষণাপত্র: তাহেরের নেতৃত্বে অংশ নেবে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

ধামইরহাট থানায় এইচএসসি প্রশ্নফাঁস: ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

নাজমুল হক, নওগা
  • Update Time : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ৪৬ Time View

নাজমুল হক, নওগা:

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় হেফাজতে থাকা ট্রাঙ্ক ভেঙে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও চারজন কনস্টেবলকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে এসআই জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবালকে প্রত্যাহার করা হয়। সবমিলিয়ে ৬ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

রোববার (২২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়। ধামইরহাট থানা ভবনের নির্ধারিত লকার কক্ষে রাখা সিলগালা ট্রাঙ্কের তালা ভাঙা হয়। ট্রাঙ্কটি উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে বিষয়টি সামনে আসে, যখন ট্রাঙ্কের ভেতর ছেঁড়া প্রশ্নপত্রের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।

ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। ছবিতে দেখা যায়, দুটি তালা ভাঙা এবং ট্রাঙ্কের ভিতরে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।

জেলা পুলিশ সুপার জানান, একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. সাগর হোসেন (৩০) থানা হাজতের নারী সেলে হাতকড়া পরানো অবস্থায় ছিলেন। রাতের কোনো একসময় তিনি সুরক্ষিত কক্ষের ট্রাঙ্ক খুলে ফেলেন এবং একটি প্রশ্নপত্রের সেট বের করেন। পরে কিছু প্রশ্ন ছিঁড়ে ফেলেন এবং বাকিগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে দেন।

ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category