শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ত্রিশাল প্রেসক্লাবের মানববন্ধন নওগাঁয় বিএমএসএফের উদ্যোগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জরুরি সভা গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  নড়াইলে কেরাম খেলে বাড়ি ফেরেনি শোয়েবুর,পরদিন পুকুরে মিললো মরদেহ কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলেছে আওয়ামী লীগ গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তীব্র ক্ষোভ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৯০ জন সন্ধ্যায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ৭ জেলায় সতর্কতা জারি এশিয়া কাপ বয়কট করল পাকিস্তান, কপাল খুলল বাংলাদেশের নির্বাচন বিলম্বিত করতে পিআর বাণী দিচ্ছে জামায়াত: মেজর হাফিজ

‘এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই’

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৫ Time View

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার এখন আর পালানোর কোনো পথ নেই।বুধবার (৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি সম্প্রতি বিবিসির প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন, যেখানে গত জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

শফিকুল আলম লেখেন, ‘জুলাইয়ের গণআন্দোলন নিয়ে বিবিসির গভীর অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর কথাও উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘শেখ হাসিনাকে অবশ্যই গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তার আর পালানোর কোনো পথ নেই। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দমননীতি ও সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার জন্য দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা ও তার নির্দেশে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারাও শাস্তি এড়াতে পারবে না।’

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট ‘বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনস’ জানায়, তারা একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের অডিও যাচাই করেছে। ওই অডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই ওদের (বিক্ষোভকারী) পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।’

ফাঁস হওয়া ওই অডিও অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গুলি করা যাবে। সরকারি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথোপকথনের এই অডিওটিকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে শেখ হাসিনাকে সরাসরি আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায়।

প্রতিবেদনটিতে একটি সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ওই ফোনালাপটি করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে অডিওটি ফাঁস হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে নিশ্চিত করেছে যে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ে শোনা যাওয়া কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার কণ্ঠের সঙ্গে মিলে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category