এইচ এম শহিদুল ইসলাম, পেকুয়া ( কক্সবাজার):
কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চিহ্নিত জলদস্যু সম্রাট আনসারুল ইসলাম টিপুর অত্যাচারে দিশেহারা অসহায় কয়েকটি পরিবার। ১২ জুলাই (শনিবার) উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত নজু মিয়ার পুত্র আব্দুল গণি বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় তার পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে এমন অভিযোগ তোলে একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
সাধারণ ডায়েরিতে সুন্দরী পাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র আনসারুল ইসলাম টিপু, আব্দুল আজিজের পুত্র কফিল উদ্দিন,কালা মিয়ার পুত্র জাকের, জামাল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে বিবাদী করা হয়।
সাধারণ ডায়েরি সুত্রে জানা যায়,বিবাদীরা আব্দুল গণির বাড়ির সামনে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে গেলে তাদের বাধা প্রদান করলে পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে। উক্ত ঘটনায় বিবাদীর পুত্র আকতার হোছেন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিবাদীদের অত্যাচার থেকে বাচঁতে ভূমি প্রতিকার সহ প্রায় ৬ টি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা গুলো প্রত্যাহার করতে নানা সময় হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এমনকি তাদের প্রাণে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দেয়,সেই ভয়ে বর্তমানে তারা পরিবারের বসতভিটা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, মূলত টিপুর সরাসরি নেতৃত্বে স্থানীয় নিরীহ জনগণের ওপর প্রতিনিয়ত লুটপাট, চিংড়ির প্রকল্প দখল, চাঁদাবাজি, হত্যা ও জখমসহ নানাবিধ অপকর্ম পরিচালিত হতো।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন জানান,আনছারুল ইসলাম টিপু চিহ্নিত জলদস্যু সম্রাট ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার নিজস্ব বাহিনী থাকার কারণে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। তার অত্যাচারে ঘর ছাড়া এখনো বহু পরিবার। ৫ আগষ্ট পরবর্তী আওয়ামিলীগ পালিয়ে গেলেও বিএনপির আত্নীয়ের শেল্টারে নতুন করে অত্যাচার শুরু করেছে।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, মারামারি, জোর করে দখল, চুরি, ডাকাতি, মারাত্মক জখম, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পেকুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আপ্যায়ন বড়ুয়া বলেন- সাধারণ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply