এস এম দূর্জয়,গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বাজারে চাঁদাবাজির ঘটনায় বহিষ্কৃত সেই যুবদল নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন,কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা.এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।গতকাল বুধবার(১৬ জুলাই)সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের বৃন্দাবন এলাকা থেকে তাঁকে জনসাধারণের সহযোগিতায় পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মুহাম্মদ আব্দুল বারিক।
গ্রেফতার মো.জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু(৪২) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মো.নূরুল ইসলামের ছেলে।তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।ঘটনার পরপরই তাঁকে বহিষ্কার করে যুবদল।বিএনপি নেতা ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন,একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারে না।একজন অপরাধী প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাজারে চাঁদাবাজি করে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজারে হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।মুহূর্তে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।আজ সকালে আমার নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি,টেংরা গ্রামের বৃন্দাবন এলাকায় সে আত্মগোপনে আছে।এরপর স্থানীয় জনতা ও নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,গাজীপুর ৩ আসনকে সন্ত্রাস মুক্ত,চাঁদাবাজ মুক্ত,মাদক মুক্ত করার জন্য সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল বারিক বলেন,গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বিস্ফোরকসহ কমপক্ষে সাতটি মামলা রয়েছে।সে বিভিন্ন কারখানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছে।ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে আসছে।আজ সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ফোন করে জানান,অভিযুক্ত আসামিকে আটক করে রেখেছে।বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানায় আনা হয়েছে।এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply