শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৌলতপুরে বিএনপির প্রার্থীতা পরিবর্তনের দাবিতে গনসমাবেশ করেছে জুয়েলের সমর্থক’রা ত্রিশালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ নড়াইল ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসক এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় তৃপ্তিকে বিজয়ী করতে গোগায় উৎসবমুখর উঠান বৈঠক বেনাপোলে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গরীবের চিকিৎসক খ্যাত ডাক্তার তোতা আর নেই রংপুর বিভাগীয় বই মেলা বর্জন কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদে ও থানায় ককটেল বিস্ফারণ,  আহত ৩ পুলিশ সদস্য

যদি কখনও জেলে যাই, তাহলে কি উঁচু কমোড পাব: প্রেস সচিব

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:
  • Update Time : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৮ Time View

ফাইল ছবি

রূপান্তর সংবাদ ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা হল যদি কখনও জেলে যাই, তাহলে কি আমি হাই কমোডের সুযোগ পাব। গত বছর গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হলে জেলে উঁচু কমোড পাওয়ার জন্য তার হয়ে স্ত্রীকে আইনজীবী নিয়োগ করতে বলেছিলেন তিনি। রোববার (২০ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে প্রেস সচিব শফিকুল আলম লেখেন, গত বছরের কারফিউ ও ইন্টারনেট শাটডাউনের সময় লন্ডনভিত্তিক বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এক সাংবাদিক প্রথম আমাকে সতর্ক করেন, যেকোনো মুহূর্তে আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তিনি (বিবিসির সাংবাদিক) বলেন, হাসিনা সরকারের এক মন্ত্রী আমাকে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে এবং ‘সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। আমি তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আল জাজিরার তানভীর চৌধুরী এবং আরও দুজন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী একই রকম সতর্কবার্তা দেন। তারা বলেন, হাসিনা সরকার জানে যে, ইন্টারনেট শাটডাউনের সময়েও এএফপির দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালু ছিল এবং আমি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের রিপোর্ট, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে সহায়তা করছিলাম।

শফিকুল আলম বলেন, তখন আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিল গ্রেফতার হওয়া নয়। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, আমাকে গ্রেফতার করা হলেও তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন করবে না- কারণ আমি তখন এএফপির ব্যুরো চিফ ছিলাম। আর এএফপি ফ্রান্স সরকারের মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা। কিন্তু আমাকে ভীষণ আতঙ্কিত করেছিল এই চিন্তাটা- যদি আমাকে সাধারণ কোনো কারাগার সেলে পাঠানো হয়, যেখানে উঁচু কমোড নেই! আমার হাঁটু ভাঙা এবং স্কোয়াট করে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটানোর উপায় আমার নেই।

প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব লেখেন, আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, যদি আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে তিনি যেন প্রথম কাজ হিসেবে একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী নিয়োগ করেন। যিনি আমার কারাগারে উঁচু কমোড ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। আমার স্ত্রী বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন, কারণ তিনি জানতেন আমি ঠাট্টা করছি না। আমি এএফপির সহকর্মী, আমার সাবেক সহকর্মী ও কয়েকজন শীর্ষ সাংবাদিককেও বলেছিলাম যেন তারা আমার পক্ষে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আরও লেখেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি শেষ পর্যন্ত কারাগারে যাইনি। কিন্তু আজও আমার সবচেয়ে বড় ভয়- যদি কোনোদিন আমাকে জেলে যেতে হয়, তাহলে কি সেখানে আমি উঁচু কমোড পাব?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category