প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ৬, ২০২৫, ৪:৩৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৩, ২০২৫, ১০:২৪ পি.এম
পেকুয়ায় রাতের আধাঁরে সংরক্ষিত বনে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে আওয়ামীলীগ নেতারা

এইচ এম শহিুল ইসলাম, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকার প্রবাহিত ছরা থেকে অবৈধ ভাবে মেশিন দিয়ে বালি তুলছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী হাবিব পাড়া, মালঘারা দুপাড়ায় ১৪টি মেশিন বসিয়ে প্রবাহিত ছরা থেকে বালি তুলে ডাম্প ট্রাক দিয়ে কাচা সড়ক দিয়ে পাচার করায় জন চলাচলের রাস্তা দিয়ে পায়ে হাটা যাচ্ছেনা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, টইটং বটতলী হাবিব পাড়ার বাসিন্দা ১নং ওয়ার্ড় যুবলীগের সভাপতি মো.হোছন প্রকাশ মাচ্ছন ছেলে আনিচ, মালগারার বাসিন্দা সাবেক ওয়ার্ড় ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোছনের ছেলে রেজাউল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা মালগারার মৃত দানু মিয়ার ছেলে আবদুল মজিদ, যুবলীগ নেতা ও মালগারার হাজী আবদুর রহমানের ছেলে আজিজুল হক ও হামিদুল হক, যুবলীগ নেতা বর্তমানে বিএনপি পরিচয়ে মৃত উকিল আহমদের ছেলে আবদুল খালেক প্রবাহিত ছরা থেকে মেশিন লাগিয়ে বালি তুলছে। হাবিব পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে আনিচ হামিদুল হক দিনেও মেশিন দিয়ে বালি তুলছে। আনিচ ও হামিদুল হকের কাছে বালি তোলার অনুমতি আছে কিন জানতে চাইলে তারা বলেন, ৪/৫বছর ধরে বালি তুলে আসছেন কোন অনুমতির প্রয়োজন হয়নি এখনও নিইনি।
এদিকে রিজার্ভ বনভূমির ভিতরে জুমপাড়া হাতির ডেরায় যুবলীগ ক্যাডার জুমপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে রিদুয়ান, সাহাব মিয়ার ছেলে সাবেক মেম্বার ও ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, যুবলীগ নেতা জয়নাল কৃত্রিম উপায়ে পাহাড় কেটে গর্তে ফেলে মেশিন দিয়ে বালি তুলে ডিপোর সৃষ্টি করেছে। একই ভাবে প্রবাহিত ছরা থেকে মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের সাথে বনবিভাগের লোকদের আনাগোনা রয়েছে, অসাধু বিট কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে রাতে বালি তুলে ও পাচার করে।
উল্লেখ্য বনবিভাগ এসিএফ রেঞ্জকর্মকর্তা সহ হাতির ডেরার বালির ডিপোটি সীলগালা করে দিয়েছিল। বর্তমানে প্রবাহিত ছরা থেকে বালি উত্তোলন করা হলে সীলগালা করা ডিপো থেকে ও ছরা থেকে উত্তোলিত বালি সমান তালে তারা পাচার করছে। স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে বালি উত্তোলনে ছরার বেড়িবাধ ভাঙ্গন ও চলাচলের রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার অভিযোগ তুললে বালি উত্তোলনকারীরা গনমাধ্যম কর্মীদের সম্মুখে অভিযোগকারীদের অপদস্থ করতে চেষ্টা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় সাহাবউদ্দিন নামক এক লোককে গনমাধ্যম কর্মীরা চলে আসার পর অবরোদ্ধ করে রাখলে এলাকায় এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উত্তেজনা চলছে বলে স্থানীয় অভিযোগকারীরা জানিয়েছে।
অবৈধ বালি উত্তোলনের বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জকর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। এবং টইটং বীট কর্মকর্তাকে জায়গাগুলো ও ব্যক্তিগলোর পরিচয় সনাক্ত করতে বলে দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মইনুল হোসেন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকটি অভিযান ও জব্দ করে মামলা দায়েরের পর এমন অভিযোগ পায়নি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক: মোঃ আবু নাইম, সম্পাদক: তরিকুল ইসলাম , ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুজ্জামান দীপু, বার্তা সম্পাদক: ফারহান খান লাবিব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: rupantorsangbad@gmail.com
Copyright © 2025 Rupantor Sangbad | রূপান্তর সংবাদ. All rights reserved.