মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

মিডওয়াইফ যেখানে ডাক্তারের ভূমিকায় !

শফিকুল আলম ইমন, রাজশাহী
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৫ Time View

শফিকুল আলম ইমন, রাজশাহী:

গ্রামের একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৷ আশপাশে অসচ্ছল পরিবারের সংখ্যা-ই বেশী। স্থানীয় গর্ভবতী মা’দের ফিস দিয়ে ডাক্তার দেখানোর মত স্বচ্ছলতা নেই। তবে সরকারি সুবিধায় সেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। সেখানে রয়েছেন একজন ডাক্তার সাথে মিডওয়াইফ ও অন্যান্যরা। কিন্তু ডাক্তারের কাজটি ডাক্তার করছেন বা করছেন না, সেটার থেকেও বড় ব্যাপার যে স্বাস্থকর্মী (মিডওয়াইফ) রয়েছেন তিনি ঠিকঠাক কাজ করছেন। রোগী সার্ভ করার কাজে তিনি উর্ধ্বতনদের কাছে কুড়িয়েছেন প্রসংশাও। দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে রোগীদের করে দিচ্ছেন প্রেসক্রিপশন, দিচ্ছেন পরীক্ষা নীরিক্ষা করার ব্যবস্থাপত্রও। সাধারণের কাছে বিষয়টি প্রসংশা কুড়ালেও বিষয়টি চিন্তিত করছে কিছু সচেতন মানুষকে। তারা মনে করছেন, রোগীর প্রেসক্রিপশন করার এখতিয়ার শুধুমাত্র এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তারদের, নার্সদের নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মুন্ডুমালায় ৷ মুন্ডুমালার বাধাইড় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ঐ মিডওয়াইফ’র নাম মাসুমা খাতুন ৷

স্থানীয়রা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মাসুমা, নরমাল ডেলিভারী করান ; রোগী দেখেন, প্রেসক্রিপশন করেন এমনকি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার ব্যবস্থাপত্রও দেন৷ পরীক্ষা-নীরিক্ষা সরকারি হাসপাতালে না করলে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ করা হয়। প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নীরিক্ষা করলে মাসুৃমা সেখানে কমিশন পান৷

এ বিষয়ে মিডওয়াইফ মাসুমা খাতুন বলেন, আমি আমার গাইডলাইন ফলোকরে, যতটুকু এখতিয়ার ততটুকুর মধ্যে রোগী দেখার চেষ্টা করি। শুধুমাত্র গর্ভবতী রোগীদের দেখি আমি, অন্য রোগীদের নয়। আমি টেস্টগুলো করতে সরকারি মেডিকেলে পাঠাই, তারা অন্য কোথাও গেলে আমার কিছু করার থাকে না। কোন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে আমার কোন লেনদেনও নাই।

এদিকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি/ডিপ্লোমা-ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড অর্থোপেডিকস এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি পাশকৃত রেজিষ্টার্ড নার্স, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ
নার্স ও মিডওয়াইফারি পদধারী ২য় শ্রেণীর নার্স কর্মকর্তাগণ বিএনএমসির প্রচলিত বিধি/আইন মোতাবেক চিকিৎসাপত্র প্রদান (প্র্যাকটিস) করার কোন বিধান/সুযোগ নাই।

এ বিষয়ে তানোরের ইউএইচ এন্ড এফপিও (হেলথ এন্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার) ডা: বার্নাবাস হাসদাক বলেন, বিষয়টি আমি জানি৷ এ বিষয়ে সতর্ক করে অফিসিয়াল চিঠি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবারও এরকম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category