বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রায় ১২ শ ঘর-বাড়ি উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ৪৭,৭১ ও ২৪শের বিপ্লব অর্থবহ করতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই: শ্রীপুরে দুর্নীতিমুক্ত-সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত  ‎তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার বিতরণ নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত বদলগাছীতে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার নড়াইলে বাস টার্মিনালে অবৈধ টোল আদায় বন্ধে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে মেরামত হচ্ছে হামলায় ভাংচুর হওয়া ঘর-বাড়ি

শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোটার
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪৮ Time View

শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোর্টার:

রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় শাতিম নামের এক কিশোরের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এরই জেরে স্থানীয় একটি হিন্দুপাড়ায় হামলার ঘটনাও ঘটে। তবে ঘটনার পরপরই উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাতিম নামের ওই কিশোরের পোস্টকে কেন্দ্র করে একটি চক্র হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়। তবে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় হিন্দুপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর মেরামত কাজ ইতোমধ্যেই শেষ পর্যায়ে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উস্কানি ছিল। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। কেউ দেশ ছাড়েনি, এলাকাও ছাড়েনি। এ ধরণের গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করছি।”

ঘটনার পর ভারতের কিছু অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয় যে, এই ঘটনার জেরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। রংপুর জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা এই খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছেন।

একজন স্থানীয় শিক্ষক ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাসিন্দা বলেন, “আমরা কোথাও যাইনি। প্রশাসন আমাদের পাশে আছে, মানুষজন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ভারতের মিডিয়ায় যা ছড়ানো হয়েছে, তা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে আমাদের ঐতিহ্যকে ম্লান করা যাবে না। আমরা প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category