শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোর্টার:
ভূমি অফিসে চাকরি করে অয়াকফ করা কবরস্থান দখলের পায়তারা। রংপুর নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডের ঘাঘট পাড়ায় (আলহাজ্ব নগর) মরহুম ইয়াছিন মিয়ার ওয়াকফ করে দেওয়া কবরস্থানের ১২ শতক জায়গা অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। যাহার মৌজা-তাজহাট, জে. এল নং-৯৭, দলিল নং-১৬৭৭৪/১৯৯২, ডিপি খতিয়ান নং-১৪৩০৭, সাবেক দাগ-২০৬, হাল দাগ-১৩৫৪৫, দীর্ঘদিন ধরে দখল করে ছিলো।এই ওয়াকফ করা কবরস্থানের বিষয়ে গত ৩৩ বছরে বিভিন্ন জায়গায় বারংবার বসা হলেও মহাসিন আলীর মেয়ে বিপাশার জন্য তার সমাধান হয়নি। কারণ বিপাসা ভূমি অফিসে চাকরি করেন। তাই ভূমি অফিসে চাকরি করার ক্ষমতা দেখিয়ে গত ৩৩ বছর তাদের দখলে রেখেছিল।
গত ৫ আগষ্ট ২৫ তারিখে সকালের দিকে এলাকাবাসী সকলে মিলে সামাজিক কবরস্থানের জায়গা মহসিন আলী ও তার মেয়ে বিপাশাকে খালি করে দিতে বললে, তারা কবরস্থানের জায়গা খালি করে দিবেনা বা দখল ছাড়বে না বলে জানায়। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে ঘাঘট পাড়া (আলহাজ্ব নগর) মোঃ মহসিন আলীর দখলে থাকা বারো শতক জায়গা উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী । উক্ত কবরস্থানের জমি গত ৩৩ বছর দখল করেছিলেন, মোঃ মহসিন আলী (৭০) ও তার মেয়ে মোছাঃ মনোয়ারা আক্তার বিপাশা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী সুজন মিয়া বলেন, আমি ছোট থেকেই শুনে আসছি ইয়াছিন চাচা এই বারো শতক জায়গাটা ওয়াকফ করে গেছে কবরস্থানের জন্য আর বিপাশারা এটা দখল করে রেখেছেন কেনা জায়গা বলে। এই কবরস্থানের বিষয়ে এলাকায়, কাউন্সিলর অফিস ও থানায় অনেকদিন বসা হয়েছিল। কিন্তু তারা ছেড়ে দেয় না।
এলাকাবাসী মোঃ সুজন শাহী ফজলুল জানান, আমাদের এলাকার মরহুম ইয়াছিন চাচা তিনি বেঁচে থাকতে ওয়াকফ করে গেছেন। তার জায়গা অনেক ছিল। তার জায়গা থেকে আটচল্লিশ শতক জায়গা মাদ্রাসায় এবং কবরস্থানের জন্য বারো শতক জায়গা মোট ৬০ শতক জায়গা এলাকাবাসীর জন্য ওয়াকফ করে যান। ইয়াছিন চাচা বেঁচে থাকা অবস্থায় মহসিন আলী চাচাকে দেখাশোনা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু মহাসিন চাচা ও তার মেয়ে বিপাশা ৩৩ বছর থেকে দখল করে আছেন। কবরস্থানের জমি ছেড়ে দেয় না।
এ বিষয়ে মহাসিন আলী চাচাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মরহুম ইয়াছিন ভাই বারো শতক জায়গা কবরস্থানের জন্য দিয়ে গেছেন। আমি অসুস্থ আমার বাড়ির পাশে সেই জায়গাটা আছে। আমি সেই জায়গা এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে দিয়ে যেন আমার মৃত্যু হয়ে।
এই জমির বিষয়ে মনোয়ারা আক্তার বিপাশাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের কথা জিজ্ঞাসা করলে বিপাশা বলে কাগজ আছে দেখাতে সময় লাগবে। এ-ই কথা বলে বলে অনেক আগে থেকে সময় ক্ষেপণ করে আসছে। এ বিষয়ে তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান আলী জানান, আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। দুইপক্ষকে বলে এসেছে কেউ যেন গন্ডগোল না করেন। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক: মোঃ আবু নাইম, সম্পাদক: তরিকুল ইসলাম , ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুজ্জামান দীপু, বার্তা সম্পাদক: ফারহান খান লাবিব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ইমেইল: rupantorsangbad@gmail.com