সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সংস্কৃতি আরও এগিয়ে নিতে রাজনীতিবিদ, যুব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৫ নভেম্বর)দুপুরে বাগেরহাটের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল,আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের নিয়ে গঠিত মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) -এর উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কর্মশালায় বাগেরহাট মার্টি পার্টি এ্যাডভোকেসী ফোরামের আবায়ক ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, ,জাতীয় পার্টির বাগেরহাট জেলা সাধারন সম্পাাদক হাজরা সহিদুল ইসলাম,মহিলা আওয়ামীলীগের বাগেরহাট জেলা সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ শরিফা হেমায়েত,জেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডঃ সাজ্জাদ হোসাইন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল খুলনা রিজিওনাল ম্যানেজার রুবাইয়াত হাসান ও রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত,চ্যানেল২৪ এর বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন যুব সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালা থেকে এসময় বাগেরহাটে কোন ধরনের সহিংসতা না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি এতে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। কর্মশালায় রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের ধারণা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতি চর্চার গুরুত্ব ও কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং আগামী দিনে বাগেরহাটে রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বলেন,আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট ২৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশ গ্রহন করছেন। অতীতের মত বাগেরহাটে এই নির্বাচনে কোন ধরনের সহিংসতা না করার জন্য প্রতিশ্রূূতি ব্যক্ত করা হয়। রাজনীতির নামে গাড়ী ভাংচুর,গাড়ীতে আগুন দেয়া,রাস্তা অবরোধ করে ক্ষতিসাধন করে দেশ ও জনগনের সম্পদ নষ্ট না করাও প্রতিজ্ঞা করা হয়। যুব প্রতিনিধি জান্নাতুন ফেরদাউস সহ অনেকে বলেন, সহিংসতা পরিহার করে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সংস্কৃতি গ্রহনের জন্য রাজনৈতিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের শিষ্টাচার সম্পর্কে কর্মীদের মাঝে এডভোকেসী করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করার মতামত দেন। পাশাপশি নেতাদেও নাগরিক অধিকারও হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সত্যিকারের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার দাবী জানানো হয়। এছাড়া যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজনৈতিকদগুলোর কাছে যুবদের জন্য তাদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
এফ সি ডিও-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত বাংলাদেশ স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেইস) প্রকল্পের সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।।
Leave a Reply